তোমাকে আমি আমার হৃদয় ভেবেছি
একবার তুমি সেখানে তাকিয়ে দেখো-
দেখবে অনাদিকাল থেকে শুধু তুমি পড়ে আছো,
আমি সেই `তুমি’কে বুকে ভরে হাসতে হাসতে নির্বিঘ্নে বয়ে বেড়াচ্ছি আমার প্রেমের মতো…
তুমি যেন আমার প্রেমের মতো গাঢ় আর বেদনার মতো প্রগাঢ়; হৃদয়ের মতো নিঃসীম প্রদাহ!
একবার তুমি প্রেমকে বিশ্বাস করো-
পাঠ করো এ হৃদয়ের প্রতিটা অক্ষর,
শুনতে পাবে শুধু তোমার নাম-
সেখানে তুমি পড়ে আছো;
একবার অন্তত তুমি আমার হৃদয়ে তাকাও-
সেখানে শুধু তুমি আর তুমি বসে আছো,
একবার তুমি আমার ওই চোখের দিকে তাকাও-
চোখ রেখে একবার তুমি মুখ ফুঁটে বলো, `ভালোবাসি না’?
আমি জানি, বলতে যেয়ে তোমার ঠোঁট ভীষণ কেঁপে উঠবে! তুমি মুখ লুকোবে লজ্জায়;
কারণ তোমার চোখ ততোক্ষণে আমার চোখের ভেতর ঢুকে গেছে!
একবার শুধু স্পর্শ করো আমায় তোমার কোমল করতলে-
দেখবে তুমি শিউরে উঠবে! শরীরজুড়ে ভীষণ কাঁপন উঠবে তোমার;
মুহূর্তেই আমার থেকে দূরে ছিটকে পড়বে তুমি…
কিন্তু ততোক্ষণে আমার বুক তোমায় বুকে টেনে নেবে প্রবল উৎসাহে-
বলোতো, কোথায় যাবে তুমি?
এই যে দেখছো হাঁড়, মাংস, চামড়া
আর গভীরে দেখছো হৃৎপিণ্ড;
সবকিছু বলেছে আমায়, দিয়েছে সাক্ষ্য-
ওদের ভেতরও নাকি তুমি মিশে আছো!
আমার পাঁজরের রক্ত ঝরতে ঝরতে বলেছে,
সেখানেও নাকি তুমি খেলা করো, খেলতে খেলতে আমায় তুমুল পাগল করে তোলো-
আরক্ত রক্তে তোমার এ উত্তেজনা আমায় কি রকম মাতাল করে তোলে!
একবার শুধু তুমি `আমি’ হয়ে যাও-
আমরা দু’জন অভিন্ন হয়ে যাব চোখ থেকে চোখে, ঠোঁট থেকে ঠোঁটে, মুখ থেকে মুখে, হৃদয় থেকে হৃদয়ে, শরীর থেকে শরীরে, ভেতর থেকে ভেতরে- বৃন্ত থেকে দু’জনে না হয় ফুটব সদ্য যৌবনপ্রাপ্ত একটি লাল গোলাপের মতো আমাদের হৃদয় থেকে পৃথিবীর সমস্ত হৃদয়ে ছড়িয়ে পড়বে অমৃত তৃষা…
একবার শুধু আমার হৃদয়ে হাত দাও-
সেখানে তোমার অস্তিত্ব শুয়ে থাকে, সেখানে তুমি পড়ে আছো;
আমি অনাদিকাল থেকে সেখানে বিদীর্ণ দাহে প্রেমের মতো পুঁষেছি তোমাকে!