আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিব আল হাসানের শেষ দেখে ফেলেছেন অনেকে। অন্য কারও ক্ষেত্রে এতদিনে এপিটাফ লেখা হয়েই যেত। তবে, দেশের ইতিহাসের সেরা ক্রিকেটার বলে কথা!
তাই পরিস্থিতি যত জটিলই হোক, সাকিবের জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনার বিষয়টি ঘুরে ফিরে আলোচনায় আসেই। বিসিবি সভাপতি হিসেবে দায়িত্বের অনেকটা অংশ জুড়ে সাকিব ইস্যু সামাল দিতে হয়েছে ফারুক আহমেদকে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সামনে রেখেও উঠছে প্রশ্ন।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে ফারুক বলেন, ‘ওর যে ইস্যুগুলো আছে, মাঝে মাঝে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে, কীভাবে কী করা যায়। ওর ইস্যুতে আমার সহযোগিতা বিষয় না। এটা শুধু সরকারের পক্ষ থেকে যদি কোনো নির্দেশনা আসে, ওর যে সমস্যাগুলো আছে ওগুলো যদি ঠিক করতে পারে, আমার মনে হয় একটা সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে। তারপর তার ফিটনেস, মানসিক অবস্থা দেখে নির্বাচক কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।’
রানের হিসেবে বিপিএলের ১১তম আসর এখন পর্যন্ত জমজমাট। অথচ এমন এক আসরেই নেই সাকিব। রাজনীতির ময়দানে নামা-ই হয়েছে কাল। ক্রিকেট মাঠ থেকেই এখন দূরে। জনরোষের মুখে আসতে পারছেন না দেশে। ফেব্রুয়ারি-মার্চে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাকে খেলাতে চাইলে প্রক্রিয়াটা কেমন হবে? কোন পথে হাঁটবে বিসিবি?
ফারুক বলেন, ‘এ বিপিএলের মাঝেই নির্বাচকদের সঙ্গে বসে আমাদের একটা সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার।’
সাকিবের ফেরা নিয়ে সংশয় থাকলেও, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দলের অধিনায়ক থাকবেন নাজমুল হোসেন শান্তই। টি-টোয়েন্টি ক্যাপ্টেন্সি ছাড়লেও, বাকি ২ ফরম্যাটে তিনিই আছেন দায়িত্বে। আর সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের পরবর্তী দলনেতা চূড়ান্ত না হলেও, বোর্ডের সুনজরে আছেন একজন।
বোর্ড প্রেসিডেন্ট এ বিষয়ে বলেন, ‘শান্ত আগেই বলেছিল টি-টোয়েন্টির জন্য কমফোর্টেবল না। অনেক আগে আমাকে প্রথম বলেছিল। ওই ব্যাপারে আমরা আরেকজন ক্যাপ্টেনের কথা চিন্তা করছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ট্যুরে লিটন অনেক ভালো নেতৃত্ব দিয়েছে। টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক নিয়ে যখন আলোচনা হবে, সে নিশ্চয়-ই এগিয়ে থাকবে।’
সূত্রঃ সময় টিভি অনলাইন