তুমি কতো অবলীলায় পার হও নয়ানজুলি নির্মোহ
অথচ কি তুমুল কেঁপে উঠে বাঁশের সাঁকো
আর আমি সন্ধ্যা সকাল পার করি অনাবিল কেঁপে কেঁপে
তোমার পায়ের ছোঁয়া রেখে যাওয়া সাঁকোর দিকে তাকিয়ে।
আহা বাঁশের সাঁকো! তুচ্ছ বাঁশের সাঁকো
গর্বিত হয়, চোখ মুদে নিঃশ্বাস নেয় সুখের
আহা নয়ানজুলির নির্বোধ কাদাজল তোমার ছায়া পেয়ে
হতভম্ব হয় রোজ, তারপর চোখ মেলে পদ্ম ফোটায় তুমুল।
বাতাসরা ঘূর্ণি খেয়ে তোমাকে ছুঁতে যায়
তুমি ঝড় ভ্রমেও থমকে দাঁড়াও না সাঁকোর উপর কদাচিৎ
গাছের পাতারা যেই আরেকটু ঝুঁকে তোমাকে দেখার জন্য
আচমকাই খসে পড়ে অর্বাচিন, তোমার পায়ের কাছে
ভ্রক্ষেপহীন তুমি পদদলিত কর অনায়াসে নির্মম
এ সবই নখদর্পনে আমার, প্রতিদিন দেখে দেখে
ঐ সাঁকো আমার বিদ্যালয়, আমার জ্ঞান ভাণ্ডার
তোমার পায়ের ছোঁয়ায় কেঁপে উঠে অর্থহীন প্রতিদিন।