ফুলের নামঃ রঙ্গন
পরিবার: Rubiaceae
উপপরিবার: Ixoroideae
গোত্র: Ixoreae
গণ: Ixora
বৈজ্ঞানিক নামঃ Ixora perviflora
বর্ণনাঃ
চিরাচরিত রঙ্গনের ফোটার সময় গ্রীষ্ম ও বর্ষাকাল। এদের সবার ফুল ফোটে থোকায় থোকায়। একেকটি থোকায় শতেক খানেক ফুল থাকা কোনো ব্যাপারই নয়। ফুল ফোটা শেষ হয়ে গেলে গাছ হালকাভাবে ছেঁটে দেওয়া ভালো। বুনো রঙ্গন বা সাদা পাহাড়ি রঙ্গনকে যত্ন করে টবে বা আঙিনায় রাখতে পারেন। পরীক্ষা করে দেখুন। একবার ব্যর্থ হয়ে পিছপা হবেন? না, ও মানবস্বভাব নয়, আপনাকে মানায় না। লাল-গোলাপি রঙ্গনের টব নার্সারি থেকে সঞ্চয় করলে সমস্যা খুব কম। নিজের হাতে করায় অনেক ঝকমারি থাকলেও আনন্দ অফুরান।
রঙ্গনের আরেক নাম রুক্মিণী। উদ্ভিদবিদ্যায় নাম Ixora। আমাদের ছবির ফুলটি Ixora perviflora হবে। এর উচ্চতা আট-দশ হাত হবে। উচ্চতার বিচারে এর বেশির ভাগ গাছ ছোট গুল্মজাতীয় গাছের আওতায় পড়বে। এর প্রজাতির সংখ্যা প্রচুর। বলতে গেলে সবগুলোর চাষই সহজ। দীর্ঘকাল চর্চার ফলে এর কালটিভর বা আবাদিত গাছগুলো প্রায় সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি টবে একে খুব সুন্দর মানায়। গাছের গুঁড়ি হাতের কবজির সমান পুষ্ট ও মোটা করে রাখা যায়। অনেকটা বনসাইয়ের মতো। ওর থেকে ফুল ফোটে প্রচুর। তখন লাল রঙের নিবিড় অজস্র ফুল থোকায় থোকায় দেখতে খুব সুন্দর। সাদা ফুলকেও এ রকম করা যায়।রঙ্গন একান্তভাবে এই উপমহাদেশের ফুল। সাদা একটি প্রজাতি চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জঙ্গলে বুনো অবস্থায় রয়েছে। সেখান থেকে বৌদ্ধরা একে ঘরের আঙিনায় রেখেছে যত্ন করে। এর উচ্চতা আট-দশ হাতের মতো। একে বৌদ্ধরা বিয়ু ফুল বলে। চৈত্রসংক্রান্তি ও নববর্ষে বৌদ্ধরা এ ফুল তুলে ঘরের দুয়ারে ও নানা জায়গায় বেঁধে ঝুলিয়ে দেয়। খুব সম্ভবত এর কোনো ঔষধি গুণ আছে। তা না হলে বহু কাল থেকে একে কেন এভাবে নিমের পাতা ও ডালের মতো ব্যবহার করবে! এর গবেষণা হওয়া দরকার।রঙ্গন খুব কষ্টসহিষ্ণু। এর প্রজাতির সংখ্যা যেমন প্রচুর তেমনি সবগুলোর চাষই সহজ। তবে খুব বড় থোকার সুপারবা সুখী প্রকৃতির গাছ এবং সহজলভ্যও নয়। আর রঙ্গনের মধ্যে সিঙ্গাপোরেনসিস্ প্রজাতিটিই বোধ হয় সবচেয়ে সুন্দর, এবং বেশির ভাগ সাদা ফুলের রঙ্গনেই মৃদু সুগন্ধ রয়েছে। সিঙ্গাপোরেনসিস্ অর্থ সিঙ্গাপুরের।""""