শেয়ালকাঁটার দেখা মিলবে আমাদের গ্রামের আশেপাশের ঝোপঝাড়,খেত খামারের পাশে, পুরনো ভবনে পাশে। এসব এলাকায় শেয়ালের আবাস বলে গ্রামের মানুষ এঁকে শেয়ালকাঁটা নাম দিয়েছে।
বন ও পাহাড়ি এলাকা ছাড়াও শেয়ালকাঁটা দেশের অসংখ্য জলাশয়, হাওর-বিল, পানা পুকুর থেকে শুরু করে সুন্দরবন ঘেঁষে সমুদ্রোপকূলের বিশাল এলাকায় চোখে পড়বে। পাতা বেশ ধারালো এবং তিখন কাঁটায় পরিপূর্ণ।
দেখতে অনেকটা আফিম গাছের মত। আফিম এবং শেয়ালকাঁটা একই পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। বৈজ্ঞানিক নাম Argemone Mexicana. আমাদের দেশে এসেছে সুদূর মেক্সিকো থেকে।
ষোড়শ শতকে স্প্যানিশ বাণিজ্যিক জাহাজে আলুর বস্তা এবং মাটির সঙ্গে সরিষার দানার মত ছোট ছোট বীজ আমাদের দেশে চলে এসেছিল। এরপর ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে।
ভেষজ পণ্ডিতরা এঁকে অনেক নামে অলংকৃত করেছেন। যেমন- স্বর্ণক্ষীরা, স্বর্ণদুগ্ধা, রুক্সিনী, সুবর্ণা, হেমদুগ্ধী ও কাঞ্চনী। শেয়ালকাঁটার রস কুষ্ঠ রোগে ব্যবহৃত হয়। গাছের পীতবর্ণের রস গনোরিয়া ও উপদংশ রোগে উপকারী।
তথ্য ও ছবিঃ ইন্টারনেট