চিরহরিৎ এক বৃক্ষ। ১২ থেকে ১৫ ফুট উঁচু। ঘন সবুজ পাতায় ঘেরা। বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই ফুলগাছ। নিচে গিয়ে দাঁড়ালে দেখা যাবে পাতার ভেতরে আগুনের মতো টকটকে লাল ফুল বাদুড়ের মতো ঝুলে আছে।
ফুল সাধারণত ওপরের দিকে মুখ করে ফুটে থাকে। এই ফুল তার ব্যতিক্রম। আয়তনে প্রায় সূর্যমুখীর কাছাকাছি। পাতার ভেতরে গোপনে ফুটে থাকা এই ফুল বাংলাদেশে ‘পাখি ফুল’ নামে পরিচিত।
বাংলাদেশে এই ফুলকে বিলাতি অশোকও বলা হয়। একেক দেশে এই গাছ একেক নামে পরিচিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম brwnea coccinea. এর মাতৃদেশ লাতিন আমেরিকা ও পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ (west Indian Islands)। বিদেশি হলেও ইদানীং বাংলাদেশের কোথাও কোথাও দেখা যায়।
অসম্ভব সুন্দর এই ফুলের কোনো গন্ধ নেই। কুঁড়ি অবস্থায় কদম ফুলের গুটির মতো আকার ধারণ করে থাকে। দ্বিতীয় পর্যায়ে এসে গুটি ফেটে রক্তজবা ফুলের মতো পৃথক ৩০ থেকে ৩৫টি কলি বেরিয়ে আসে। কিছুদিন পরে কলিগুলো একসঙ্গে ফেটে পাপড়ি বেরিয়ে আসে।
তথ্যসূত্রঃ প্রথম আলো