বৈজ্ঞানিক নাম : Dillenia indica.
পরিবার : Dilleniacae.
জন্মস্থান : দক্ষিণ এশিয়া, প্রায় সারা দেশের সর্বত্রই পাওয়া যায়।
চালতা ফুলের সৌন্দর্য অন্যান্য ফুলের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। মৌমাছি আর ভোমর খেলার ছলে মধু আহরণ করতে দেখা যায়। ফলের ধরন অনুসারে এমন সুন্দর ফুলটি বর্ষার উপহার হিসেবে আমরা সবাই পেয়ে থাকি। এ গাছটি পরিত্যক্ত জায়গায় এমনিতেই বেড়ে ওঠে। আমাদের চারপাশের গাছগাছালির ভেতর অজান্তেই গাছটিতে ফুল ফোটে।
এ ফুল সাধারণত ভোর থেকে ধীরে ধীরে বিকশিত হয়। আবার দুপুর হলে ধীরে ধীরেই ফুটন্ত ফুলটি মলিন দেখা যায়। তবে ফুলটি দৃষ্টিনন্দন মন কাড়ে। চালতা মূলত মাঝারি আকৃতির চিরসবুজ বৃক্ষ। গাছের উচ্চতা ৪০-৪৫ ফুট। গুঁড়ি সাদা ডালাপালা বিস্তৃত। বাকল চকচকে, পাতলা। পাতা ঘন সারিবদ্ধ।
আর পাতার কিনারা করাতের মতো খাঁজকাটা ও সমান্তরাল শিরাযুক্ত। ফুল সাদা, বড় আকৃতির সুগন্ধযুক্ত। পাঁপড়ি মোটা। মে-জুনে এ ফুল ফোটে। চালতা যে অংশটা ফল হিসেবে ব্যবহার করা হয় সেগুলো ফুলের বৃতি। আসল ফল থাকে এ বৃতির ভেতরে। ফলের অভ্যন্তরে থাকে বীজ।
বীজ চকচকে আঠা দ্বারা বেষ্টিত। ব্যবহার কাঠ মাধ্যম শক্ত, ভারী এবং পানিতে টিকসই। নৌকার তলদেশে, যন্ত্রপাতির হাতল তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। জ্বালানি হিসেবে ভালো এবং উন্নত মানের কয়লা তৈরি করা যায়। বাকল ট্যানিন হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
এ ফল তরকারি হিসেবে পানীয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ফলের আঠালো মণ্ড চুল পরিষ্কারক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। শুকনো পাতা গজতন্ত ও শিং পরিষ্কার করতে ব্যবহার করা হয়। আর পাকা ফলের রং হলদে-সবুজ। চালতার চাটনি খুবই সুস্বাদু আচার তৈরি করে নিজে খায়, আত্মীয়স্বজনকে বিলিয়ে দেয়। এই গাছের পাতা, বাকলে রয়েছে ঔষধি গুণাগুণ।