গুগল গ্লাসের মতো একধরনের নতুন স্মার্টগ্লাস বা স্মার্টচশমা তৈরির পথে হাঁটছে অ্যাপল। এই স্মার্টগ্লাসে এক জোড়া সাধারণ কাচের পাশাপাশি একটি অগমেন্টেড রিয়্যালিটি ডিসপ্লে থাকবে। সহজ ভাষায় বাস্তব বস্তুর ইনফরমেশন সংগ্রহ করে ভার্চ্যুয়াল আইডিয়া তৈরির প্রযুক্তিকে অগমেন্টেড রিয়্যালিটি বা এআর প্রযুক্তি বলা হয়ে থাকে।
২০১৮ সালের শুরুর দিকে এ স্মার্টগ্লাস বাজারে আসতে পারে বলে জানা গেছে। অনেকদিন ধরে গোপনে এই স্মার্টগ্লাস নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে অ্যাপেল। এ বছরের শুরুর দিকে এই স্মার্টগ্লাস এর কথা জানানো হয় অ্যাপেলের পক্ষ থেকে। ইতিমধ্যে নিয়ার আই-ডিসপ্লে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যন্ত্রাংশ সরবরাহের জন্য আলোচনাও শুরু করেছে। এ ছাড়া প্রাইমসেন্স, মেটাইও, ফ্লাইবাইয়ের মতো এআর, থ্রিডি ম্যাপিং, কম্পিউটার ভিশন সফটওয়্যার নির্মাতা কয়েকটি উদ্যোগও অধিগ্রহণ করেছে সংস্থাটি।
অ্যাপলের লক্ষ্য হচ্ছে, এমন একটি স্মার্টগ্লাস তৈরি করা, যা ওয়্যালেস উপায়ে আইফোনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্মার্টগ্লাস ইউজারের চোখের সামনে তথ্য তুলে ধরতে পারবে। অগমেন্টেড রিয়্যালিটি টেকনোলজি এখনো ততটা উন্নত হয়নি। গুগল গ্লাসের মুখ থুবড়ে পড়া তারই প্রমাণ।
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে উন্নত অগমেন্টেড রিয়্যালিটি হেডসেট হিসেবে মনে করা হয় মাইক্রোসফটের হলোলেন্সের ডেভেলপার সংস্করণটিকেই। এর দাম তিন হাজার মার্কিন ডলার। ম্যাজিক লিপ নামের আরেকটি সংস্থা গোপনে এআর প্রযুক্তি তৈরিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অধিকাংশ সংস্থা ভার্চ্যুয়াল রিয়্যালিটির ডিভাইস তৈরিতে ঝুঁকেছে। গুগল তৈরি করেছে ডেড্রিম প্ল্যাটফর্মের ভিউ হেডসেট। ফেসবুকের অকুলাস ভিআর ও স্যামসাং ভিআর উন্নত ভিআর প্রযুক্তি তৈরিতে কাজ করছে। তবে অ্যাপল কবে নাগাদ এ প্রযুক্তির দিকে হাত বাড়াবে, তা এখনো পরিষ্কার জানা যায়নি।