জ্যোৎস্না প্লাবিত ভোরে যখন আকাশে উড়ে বেড়ায়
শাদা গোলাপ, বেলি, জুঁই, কামিনী, গন্ধরাজ
পাখিরা মাত্র ঘুম থেকে উঠে কলকাকলীতে মেতে রয়
তারা বিস্ময় নিয়ে দেখে আমার নিদ্রাহীনতার সাজ
সারারাত আমার মন-মস্তিষ্ক শুধু তোমার কথাই ভাবায়
চোখ রেখে একটি ঘাস ফড়িংয়ের মায়াবী ডানায়-
আমি তোমার ডাগর আঁখির কথা ভাবি
আমি তোমার চিরসবুজ হৃদয়ের কথা ভাবি
আমি তোমার নৃত্যময় চঞ্চলতার কথা ভাবি
আমি তোমার কবোষ্ণ অধরের কথা ভাবি।
অথচ আজ বৃষ্টির জল আশ্রয় নেয় তোমার চোখে
কষ্টের কথা বলতে গিয়ে কেঁপে উঠে চঞ্চু তোমার
হরিণীর চঞ্চলতা কেড়ে নিয়েছে স্থবির অন্ধকার
অথচ কথা ছিল, আমার কষ্টের বিনিময়ে তুমি থাকবে সুখে
ভেবে পাই না কেন বানেভাসা কুকুরের লাশ ছুঁবে
ফুলের ভারে নুয়ে পড়া আগুন রাঙা কৃষ্ণচূড়ার ডাল
কেন এঁদো ডোবায় আলো ঝলমল কচুরিফুল ফুটে থাকবে
আমিতো আঁধার গিলে তোমায় দিয়েছিলাম চিরসকাল।