সেমিতে অ্যাস্টন ভিলা, ফের পেনাল্টি নায়ক মার্টিনেজ

ফুটবল দুনিয়া April 19, 2024 1,693
সেমিতে অ্যাস্টন ভিলা, ফের পেনাল্টি নায়ক মার্টিনেজ

উয়েফা কনফারেন্স লিগের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে অ্যাস্টন ভিলা। যেখানে আবারও নায়ক হয়েছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। ফরাসি ক্লাব লিলের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর শুটআউটে দুটি সেভ করে ইংলিশ ক্লাবটির পেনাল্টি হিরো বনে যান মার্টিনেজ। ১৯৮২ সালে শেষবার তারা সেমিতে নাম লেখাতে পেরেছিল। মার্তিনেজ বীরত্বে ৪২ বছর পর ফের শেষ চারে জায়গা করে নিতে পেরেছে দলটি।


কোয়ার্টার ফাইনালে লিলকে পেনাল্টিতে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে ভিলা। সাত দিন আগে ঘরের মাঠে ২-১ গোলের জয় পায় ভিলা। তবে কাল রাতে একই ব্যবধানে নিজেদের মাঠে জয় পায় লিল। দুই লেগ মিলিয়ে গোল ৩-৩ হওয়ায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। আর সেখানেই ৪-৩ গোলের জয় নিশ্চিত করে ভিলা।


ইউসুফ ইয়াজিসি ও বেঞ্জামিন আন্দ্রের গোলে জয় নিশ্চিত করে লিল। ভিলা হয়ে একমাত্র গোলটি করেন ম্যাটি ক্যাশ। খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়ালেও কোনো ফল আসেনি। ঐ ১২০ মিনিট সময়ে অবশ্য সফল লিলের গোলরক্ষক লুকাস শেভালিয়ার। তিনি পাঁচটি নিশ্চিত গোল প্রতিহত করলেও মার্তিনেজ পেরেছেন মাত্র দুটি।


তবে পেনাল্টি শুটআউটের সময় দুটি গোল বাঁচান এই আর্জেন্টাইন। নাবিল বেনতালেব এবং অধিনায়ক আন্দ্রের স্পট-কিক দুটি ফিরিয়ে দেন তিনি।


• মার্তিনেজের দুই হলুদ কার্ড


বৃহস্পতিবারের নাটকীয় ম্যাচে মার্তিনেজ দুটি হলুদ কার্ড পেয়েছিলেন। তবে তাকে মাঠ ছাড়তে হয়নি। ৩১ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক ম্যাচের ৩৯ মিনিটে সময় নষ্টের কারণে হলুদ কার্ড দেখেছিলেন তিনি। পরে টাইব্রেকারে বেনতালেবের শট ফিরিয়ে অতিরিক্ত উদযাপনের কারণে ফের হলুদ কার্ড দেখেন তিনি। প্রথম শট ঠেকিয়েই তিনি লিলের সমর্থকদের লক্ষ্য করে ঠোঁটে আঙ্গুল রেখে চুপ থাকতে বলেন। যা অপমান করার সমতুল্য বলে মনে করায় কার্ড দেখানো হয়।


রেফারি ইভান ক্রুজলিয়াক আবার হলুদ কার্ড দেখালে মাঠ ছাড়াটাই স্বাভাবিক ছিল মার্তিনেজের। আর তা দেখে ভিলার সমর্থকরা উদ্বিগ্ন হয়ে যান। কারণ তখনও বাকি ছিল চারটি শট। তবে মার্তিনেজকে মাঠ ছেড়ে যেতে হয়নি না জানা এক নিয়মের কারণে। যে সতর্কতা পেনাল্টি শুটআউটের সময় প্রয়োজন পড়ে না।


বিতর্কিত এই নিয়মটি আন্তর্জাতিক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ডের ১০ নম্বর আইন। যেখানে বলা হয়েছে, ‘ম্যাচ চলাকালিন জারি করা সতর্কতা (অতিরিক্ত সময় সহ) পেনাল্টি চিহ্ন (কেএফপিএম) থেকে কিকে এগিয়ে নেওয়া হয় না। ম্যাচ এবং কেএফপিএম উভয় সময় হলুদ কার্ড পাওয়া একজন খেলোয়াড়কে মাঠের বাইরে পাঠানো হয় না। দুটি পৃথক সতর্কতা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’