ইতালিতে ধর্ষণের দায়ে ব্রাজিলে জেল খাটবেন রবিনহো

ফুটবল দুনিয়া March 21, 2024 290
ইতালিতে ধর্ষণের দায়ে ব্রাজিলে জেল খাটবেন রবিনহো

গত মাসেই ধর্ষণের দায়ে সাড়ে চার বছরের জেল হয়েছিল ব্রাজিলের তারকা ফুটবলার দানি আলভেজের। ১৪ মাস জেল জীবন পার করে গতকালই পেয়েছেন জামিন। কিন্তু এরপরেই আরও এক নেতিবাচক সংবাদ শুনতে হলো সেলেসাও ভক্তদের। ধর্ষণের অভিযোগে এবার জেলে যেতে হচ্ছে ফরোয়ার্ড রবিনহোকে।


৪০ বছর বয়সী রবিনহোকে ধর্ষণের দায়ে ইতালিতে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ২০১৩ সালে এসি মিলানে খেলার সময় দলবদ্ধ হয়ে ধর্ষণে অংশ নেয়ার অপরাধে শাস্তি দেন ইতালির আদালত। তবে রবিনহো তার আগেই ইতালি ছেড়ে গেলেও ২০২০ সালে মিলানের আদলতে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। আপিলে তিনি হেরে যান। এরপর ২০২২ সালে ইতালির সর্বোচ্চ আদালত তার শাস্তি বহাল রাখেন এবং একই সঙ্গে ব্রাজিল সরকারকে তা কার্যকর করার অনুরোধ জানান। ব্রাজিলের সুপিরিয়র কোর্ট অব জাস্টিস (এসটিজে) এর আগে জানিয়েছিলেন, তারা রবিনহোকে শাস্তি দেয়ার বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখবেন।


ইতালির আইনজীবীরা রবিনহোর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেন। কিন্তু বিদেশে অপরাধ সংঘটনের পর ব্রাজিলের কোনো নাগরিক তার দেশে ফিরলে বিদেশের বিচারিক কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে না দেশটির সরকার। তাই ইতালির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, রবিনহোর শাস্তি যেন ব্রাজিলেই কার্যকর করা হয়। সেটারই চূড়ান্ত রায় এল অবশেষে।


যদিও রবিনহো শুরু থেকেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এসেছেন। সম্প্রতি ব্রাজিলের টেলিভিশন নেটওয়ার্ক টিভি রেকর্ডকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ৪০ বছর বয়সী সাবেক ফুটবলার জানিয়েছেন, ওই নারীর সঙ্গে সবকিছু পারস্পরিক সম্মতিতেই হয়েছিল। এ ছাড়া তিনি ইতালির বিচারিক ব্যবস্থাকে ‘বর্ণবাদী’ আখ্যা দিয়েছেন।


রবিনহোর আইনজীবী হোসে এদুয়ার্দো রাঙ্গেল ডি অ্যালকিম জানান, তিনি রবিনহোর প্রতি ব্রাজিল সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া এই আদেশের বিষয়ে আপিল করবেন। একই সঙ্গে তিনি কোর্টের কাছে আবেদন করবেন, আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত যেন সাবেক এই খেলোয়াড়কে গ্রেফতার করা না হয়।


আইনজীবী বলেন, রবিনহো এখানেই আছেন এবং বিচারকের মুখোমুখি হতেও প্রস্তুত তিনি। বা কোনো কর্মকর্তাও যদি তার কাছে যায়, তা মেনে নেবেন তিনি, বিরোধিতা করবেন না।


অ্যালকিম আরও বলেন, আমাদের প্রথম লক্ষ্য এখন, তার প্রতি দেখা মাত্রই গ্রেফতারের যে পরোয়ানা রয়েছে, সেটা বাতিল করা। আমরা আবেদন করবো, কারাদণ্ডের রায়ে সে শাস্তি ভোগ করবে, তবে সেটা আপিল প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর।