এক লোক ছিল খুবই কিপটে।
তিনি তার ছেলেকে নতুন জুতা কিনে দিয়ে বললেন: সিড়ি দিয়ে উঠার সময় দুইটা করে উঠবি। এতে জুতার উপর চাপ কমবে। জুতা বেশিদিন টিকবে।
কিন্তু ছেলে বাবার চেয়েও বড় কিপ্টুস ছিল। অনেকেই তাদেরকে তুলনা দিয়ে বলতো: বাপ কা বেটা, সিপাহীকা ঘোড়া।
কিপ্টুস ছেলে ভাবল: আমি বাবার চেয়েও বেশি সাশ্রয়ী হব। সে বাবাকে খুশি করার জন্য তিনটা সিড়ি করে উঠা শুরু করল।
কিন্তু একদিন বাবা ছেলের এ কর্ম দেখে খুশি না হয়ে উল্টো ক্ষেপে গেলেন। দিলেন গালে এক চড়।
ছেলের চিৎকারের শব্দে মা এসে বলল আমার এতটুকু বাচ্চাকে কেন মেরেছো?
বাবা: ওকে বলেছি দুইটা সিড়ি করে উঠবি তাহলে জুতা বেশিদিন টিকবে আর ও উঠলো তিনটা করে।
মা: ও তো ঠিকই করেছে। তোমারতো খুশি হওয়ার কথা।
বাবা: খুশি হব কিভাবে? তোমার ছেলে২০০ টাকার জুতার তলা বাঁচাতে গিয়ে ৮০০ টাকার প্যান্টের তলা ছিঁড়ে ফেলেছে যে! কিচ্ছু কী খেয়াল রাখোনা?
এ গেল কিপ্টুস বাবার কিপ্টুস ছেলের একদিনের ব্যর্থতা। ছেলের মনে খুব কষ্ট। বাবাকে খুশি করতেই হবে। সে খেয়ালেই থাকে সে। হঠাৎ একদিনের কথা।
বাবা ফার্মগেটে দাড়িয়ে। ছেলে হঠাৎ হাঁপাতে হাঁপাতে দৌড়ে এলো।
ছেলে: বাবা, বাবা! আজ আমি তোমার ৫ টাকা বাঁচিয়েছি।
বাবা: (খুশি হয়ে) কীভাবে?
ছেলে: শাহাবাগ মোড় হতে আমি এই ৬ নম্বর বাসে না উঠেএটার পেছনে পেছনে দৌড়ে এসেছি। ব্যস বেঁচে গেল ৫ টাকা।
বাবা: (রাগান্বিত হয়ে) আবার চড় বসিয়ে দিলেন উপযুক্ত ছেলের গালে।
ছেলে: (হতবাক হয়ে) আজ মারলে কেন?
বাবা: বোকা ছেলে! ৬ নম্বরের পেছনে দৌড়ালি কেন? কোন একটা ট্যাক্সি ক্যাবের পেছনে দৌড়ালে তো ৫ নয় ৩০০ টাকা বাঁচতো। গর্দভ কোথাকার।