প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার আনন্দে ভাসছে আফগানরা। তবে দলটির তারকা অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইবের চোটের ‘নাটক’ নিয়ে চলছে সমালোচনা। যদিও বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন সাবেক টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
ইএসপিএন ক্রিকইনফোর ম্যাচ পরবর্তী আলোচনায় তামিম বলেন, ‘মানুষের হয়তো ভিন্ন মতামত থাকতে পারে। আমার মনে হয়, অনেকেই এমনটা করতো। আবার অনেকে এমনটা করতো না। তাই এটা ব্যক্তিগত বিষয়, আমি সেটাকে ভালো বা খারাপ কোনোভাবেই দেখি না। আবেগের জায়গা থেকে ব্যাপারটি বুঝতে পারছি। যেভাবে তা সাজানো হয়েছে, এটা নিয়ে তর্ক হতে পারে। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে সময় নষ্ট করাটা এবারই প্রথম দেখিনি আমরা এবং এটা শেষবারও নয়। আগেও এমনটা অনেকবার হয়েছে।’
এর আগে বৃষ্টির আভাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ম্যাচের শেষদিকে ঘটে বিতর্কিত ওই ঘটনা! ব্যাটিংয়ে থাকা বাংলাদেশ তখন ডিএলএস পদ্ধতিতে ২ রানে পিছিয়ে। বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখায় ডাগআউট থেকে আফগানিস্তানের প্রধান কোচ জোনাথন ট্রট সময় নিতে সংকেত দিচ্ছিলেন।
সংকেত দেখার পরপরই স্লিপে থাকা গুলবাদিন নাইব মাঠে শুয়ে গেলেন, যেন কিছুটা সময় নিতে চাইলেন এই পেস অলরাউন্ডার। সতীর্থদের কাঁধে ভর দিয়ে মাঠ ছাড়া এই পেসার পরে মাঠে নেমে স্বাভাবিকভাবে বল করেছেন, পেয়েছেন উইকেটও। জয়ের উদযাপনে দৌড়েছেন স্প্রিন্ট অ্যাথলেটদের মতো, লাফিয়ে উঠেছেন সতীর্থদের কাঁধে।
বিষয়টি কৌতুকের স্বরেই বর্ণনা করেছেন নিউজিল্যান্ডের ধারাভাষ্যকার ইয়ান স্মিথ, ‘গত ছয় মাস ধরে আমার হাঁটুর অবস্থা খারাপ। ম্যাচশেষে আমি গুলবাদিন নাইবের চিকিৎসককে দেখাতে যাব। এই মুহূর্তে তিনি বিশ্বের অষ্টম আশ্চর্য।’
এ ছাড়া ম্যাচ চলাকালেই কিউই ধারাভাষ্যকার সাইমন ডুল বলে ওঠেন, ‘কোচ কী ইঙ্গিত দিয়েছে সেটা সবাই বুঝতে পেরেছে। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করাটা ঠিক নয়, অগ্রহণযোগ্য।’ আরেক ম্যাচ বিশ্লেষক পমি মবঙ্গোয়া মন্তব্য করেন আরও খোলামেলা-ভাবেই, ‘অস্কার নাকি এমি?’
সূত্রঃ ঢাকা পোস্ট