তারকাখ্যাতি লাভ করার আগে নেইমার তখন খেলতেন সান্তোসে। ২০১০ সালে আতলেতিকো গুইয়ানিয়েন্সের বিপক্ষে এক ম্যাচে তাকে পেনাল্টি নিতে না দিয়ে অন্য একজনকে পেনাল্টি নিতে পাঠানোয় কোচের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন।
আচরণগত কারণে শাস্তি হিসেবে নেইমারকে বসিয়ে রেখে বেতনের এক-তৃতীয়াংশ জরিমানাও করেন সান্তোসের তখনকার কোচ।
এ ঘটনায় পরে সান্তোসের বোর্ড সভায় সবাই পক্ষ নিয়েছিলেন ১৮ বছর বয়সী নেইমারের, চাকরি হারান কোচ। সেই কোচের নাম দরিভাল জুনিয়র। ব্রাজিলের নতুন কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন নেইমারের কারণে চাকরি হারানো সেই দরিভাল।
নেইমার এখন ব্রাজিলের বড় তারকা। আপাতত ইনজুরির কারণে দলের বাইরে আছেন। ধারণা করা হচ্ছে কোপা আমেরিকার পরে মাঠে ফিরবেন তিনি। নেইমার মাঠে ফিরলে কেমন হবে দরিভালের সঙ্গে সম্পর্ক? তা জানার অপেক্ষা থাকবে ব্রাজিল ভক্ত-সমর্থকদের।
গেল নভেম্বরে অবশ্য নেইমার সম্পর্কে দরিভাল বলেছিলেন, 'সে (নেইমার) চাইলে আরও অনেক কিছু অর্জন করতে পারতো। সে এমন একজন খেলোয়াড় যে ক্যারিয়ারে আরেকটু দৃড়তা দেখালে আরও ভালো কিছু করতে পারতো।
তার ক্যারিয়ার জুড়ে কি হয়েছে তার সবটা অবশ্য আমি জানি না। তার থেকে অনেক বছর দূরে ছিলাম আমি। তবে সে একজন সেরা খেলোয়াড়, দুর্দান্ত একজন।
পৃথিবিতে এমন খেলোয়াড় কমই আছে।' নেইমারের ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে দরিভাল তখন বলেছিলেন, নেইমারের ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলার এবং জেতার সম্ভাবনা আছে তবে পুরোটা নির্ভর করছে তার (নেইমারের নিজের) উপর।
২০০২ সালে পেশাদার কোচ হিসেবে অভিষিক্ত দরিভাল গত ২১ বছরে ভারপ্রাপ্ত ও স্থায়ী হিসেবে মোট ২০টি ক্লাবের দায়িত্ব পালন করেছেন। অবশ্য ২০২২ সালে ফ্লামেঙ্গোর দায়িত্ব নিয়ে দারুণ চমক দেখান দরিভাল।
তার হাত ধরে কোপা ব্রাজিল এবং কোপা লিবার্তাদোরেস জেতে ফ্লামেঙ্গো। গেল বছরের এপ্রিলে সাও পাওলোর দায়িত্ব নিয়ে জেতেন আরও একটি কোপা ব্রাজিল। দরিভাল ব্রাজিল জাতীয় দলে কেমন করেন সেটিই হবে দেখার।
সূত্রঃ দেশ রূপান্তর