গতকাল রাতের বসুন্ধরা কিংস ও ওড়িশা এফসির মধ্যকার ম্যাচে রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এর মাঝেই আরেকটি অবাক করা কান্ড ঘটিয়েছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। নিজেদের ফেসবুক ভেরিফাইড পেইজ থেকে ম্যাচটির হাইলাইটস সরিয়ে নিয়েছে তারা!
কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে এএফসি কাপের 'ডি' গ্রুপের ম্যাচে অবিশ্বাস্য এক সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। তাতেই শুরু যত আলোচনা-সমালোচনা। ম্যাচের প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের ঘটনা এটি। মাঝ মাঠে ওড়িশার মরোক্কান মিডফিল্ডার আহমেদ জাহোকে পেছন থেকে ট্যাকল করেছিলেন কিংসের উজবেক মিডফিল্ডার আসরর গফুরভ।
সতীর্থকে ফাউল করতে দেখে ওড়িশার এক ফুটবলার দৌড়ে এসে গফুরভকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। ভিয়েতনামের রেফারি এ ক্ষেত্রে যে বিচারটা করলেন, তা দেখে বিস্মিত গোটা স্টেডিয়াম। ওড়িশার সমর্থকরাও যেন একটু লজ্জাই পেয়ে গেলেন তাতে। গফুরভকে দেখানো হলো সরাসরি লাল কার্ড! আর ওড়িশার সেই খেলোয়াড়কে কার্ড না দেখিয়ে করা হলো সতর্ক!
তাতেই আসলে সর্বনাশ হয় বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নদের। দ্বিতীয়ার্ধে সেনেগালের ডিফেন্ডার মোর্তাদা ফলের হেডে আরেকবার কপাল পোড়ে কিংসের। আর রেফারির বদান্যতায় ১-০ গোলের জয়ে গ্রুপসেরা হয়ে জোনাল সেমিফাইনালে নাম লেখায় স্বাগতিক ওড়িশা এফসি।
বিতর্কিত রেফারিংয়ের তদন্ত চেয়ে কিংস-ওড়িশা ম্যাচ শেষে কেবল নিজের বিবৃতি দিয়ে কলিঙ্গ স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলন কক্ষ ত্যাগ করেন বসুন্ধরা কিংস কোচ অষ্কার ব্রুজোন। তিনি বলেন, 'আমি এই ম্যাচের কোন টেকনিক্যাল অ্যানালিসিস করতে চাই না। খেলার বৃহত্তর স্বার্থে শুধু অনুরোধ করবো এএফসি যাতে বাংলাদেশের এই দলটার সঙ্গে এএফসি কাপে যা হয়েছে তার সুষ্ঠু তদন্ত করে।'
ব্রুজোন আরও বলেন, 'ঘরের মাঠে আগের ম্যাচের পর আমরা রেফারির নিরপেক্ষতা নিয়ে অভিযোগ করেছিলাম- যে রেফারি আমাদের অগ্রযাত্রা থামাতে চেয়েছেন। তবে সেই ম্যাচে আমার ছেলেরা অসাধারণভাবে ফিরে এসে ম্যাচ জিতেছিল। তবে আজ...। আমি আবারও বলছি, এএফসির অবশ্যই রেফারির বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত। এখানে দুটি ঘটনা ঘটতে পারে। প্রথমত হতে পারে অর্থনৈতিক ব্যাপার। দ্বিতীয়ত কারো কর্তৃক নির্দেশিত হয়ে এমনটা করেছে। এটাই এই ম্যাচ নিয়ে আমার বক্তব্য। এছাড়া আর কিছু বলতে চাই না, ধন্যবাদ।'
এরপর এএফসি যা করল তা রীতিমত চোখ কপালে ওঠার মতো। ম্যাচের হাইলাইটসই তারা সরিয়ে ফেলল!
সূত্রঃ দেশ রূপান্তর