অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা দিয়ে ম্যাচের শুরু, শেষটা আর্জেন্টিনার জয় দিয়ে। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচের রেশ তাই এখনও কাটেনি।
এদিন ম্যাচ শুরুর আগেই গ্যালারিতে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের সমর্থকরা। আর্জেন্টিনার জাতীয় সঙ্গীত চলাকালেই দুয়োধ্বনি দিতে শুরু করেন ব্রাজিলের কিছু সমর্থক। একপর্যায়ে দুই পক্ষের দর্শকদের সামাল দিতে স্থানীয় পুলিশ লাঠিচার্জের আশ্রয়ও নিয়েছিলেন।
এদিকে এই ম্যাচের উত্তাপ নিয়ে মুখ খুলেছেন চোটের কারণে মাঠের বাইরে থাকা ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার জুনিয়র। গত অক্টোবরে বিশ্বকাপ বাছাই খেলতে গিয়ে এসিএল ইনজুরিতে পড়েন তিনি। এজন্য সুপার ক্লাসিকোর ম্যাচটা খেলা হয়নি ব্রাজিলের সর্বকালের শীর্ষ গোলদাতার। তবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মেজাজ হারানোর ম্যাচ নিয়ে চুপ থাকেননি নেইমার। তার দাবি, মঙ্গলবার ম্যাচটি খেললে প্রতিপক্ষের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতেন। তাকেও অনেক বেশি আঘাত সইতে হতো।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে এক স্টোরিতে নেইমার লিখেছেন, ‘ভালো খেলা, ক্লাসিক। উত্তাপ ছড়ানো ম্যাচ। আমি এই ম্যাচে আরও অনেক আঘাত পেতাম। কিন্তু আমি হয়তো তালগোল পাকিয়ে ফেলতাম।’
চোটের কারণে লাতিন ফুটবলের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর দ্বৈরথে খেলা হয়নি নেইমারের। ওই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠা আবহ সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া পোস্ট যেন একটু শান্ত করার চেষ্টা করলেন তিনি। ‘ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ আমাদের বাড়িতে হল্লা তৈরি করে। আরে চলো, চলো! আবহটা উঞ্চ করতে কাউকে না কাউকে তো কিছু একটা করতে হবে!’
এর আগে ক্ষোভ প্রকাশ করে লিওনেল মেসি বলেছিলেন, ‘আমরা দেখেছি পুলিশ কিভাবে মানুষের ওপর চড়াও হচ্ছিল। আমাদের পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যও ওখানে ছিল। কোপা লিবার্তাদোরেসের ফাইনালেও একই কাজ করেছে তারা (ব্রাজিলের পুলিশ)। মাঠে খেলার চেয়ে সেসবেই তাদের মনোযোগ বেশি থাকে।’
অন্যদিকে, গ্যালারিতে মারামারি ও পুলিশের লাঠিচার্জ নিয়ে মেসির প্রতিক্রিয়ার জবাব দিয়েছে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন (সিবিএফ)। এক বিবৃতিতে সিবিএফ বলছে, ‘এটি স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা দরকার যে ম্যাচ আয়োজন ও পরিকল্পনার অত্যন্ত সতর্কতা এবং কৌশলের আশ্রয় নিয়েছিল সিবিএফ। মাঠে থাকা দুই দলের প্রতিনিধি সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল, এমনকি রিও ডি জেনেইরোর সামরিক পুলিশের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। পুরো ম্যাচের আয়োজন— বিশেষ করে নিরাপত্তার বিষয়টি ঠিক রাখতে আমরা প্রশাসন ও নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সভায় নির্ধারণ করেছিলাম।’