প্রশ্ন : আজান দেওয়ার ও শোনার সময় দুনিয়ার কথা বললে, আজানের জবাব আদায় ও মোনাজাত না করলে যেকোনো স্থানে থাকুন না কেন, ৪০ বছরের নেকি নষ্ট হয়ে যাবে—এমন কথা বলা হয়ে থাকে। এটি কি ঠিক?
উত্তর : আসলে আজানের জবাব দিতে হয়। রাসুল (সা.) বলেছেন, যেই ব্যক্তি আজানের দোয়াটি পড়বে, তার জন্য আমার সুপারিশ হালাল হয়ে যাবে। অর্থাৎ আপনি যদি আজানের জবাব দেন ও দোয়াটি পাঠ করেন, আপনার জন্য রাসুলের সুপারিশ হালাল হয়ে যাবে।
এটি অনেক বড় একটি নেয়ামত। যারা কথা বলে, তারা এই নেয়ামত থেকে মাহরুম হয়ে যায়। আমাদের শেখ আবদুল আজিজ বিন বাজকে (রা.) জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, কিছু মানুষ আজানের সময় কথা বলে। তখন তিনি বলেছেন, এইভাবে মাহরুম হওয়ার চেয়ে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করি।
এ জন্য যখনই আজান হবে, তখন আমরা অন্য কোনো কিছু না করে শুধু আজানের জবাব দেব, প্রস্তুত হব। আপনি কথা না বলে প্রস্তুতি নিতে পারবেন, কিন্তু কথা বলতে পারবেন না। এটি হলো মূল কথা। আজানের সময় আপনি পড়ালেখাও করতে পারবেন না। এটি হচ্ছে সঠিক তথ্য।
কিন্তু আপনি যে কথাটি বলেছেন, ৪০ বছরের ইবাদত নষ্ট হয়ে যাবে, এটি একেবারেই শুদ্ধ নয়। এগুলো সহিহ হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত হয়নি। তবে আজানের সময় কথা বলা বা ভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকা, আজান না শোনা, আজানের জবাব না দেওয়া, নামাজের জন্য প্রস্তুতি না নেওয়া, এটি অন্যায় কাজ।
কিন্তু আপনি যেই হাদিসটির কথা বলেছেন সেটি সঠিক নয়। খুবই প্রয়োজনীয় কোনো কথা হলে চুপিসারে আজানের আদব রক্ষা করে কথা বলতে হবে। -সূত্রঃ আপনার জিঙ্গাসা, এনটিভি অনলাইন