পবিত্র হজ পালন করতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে হাজী সাহেবরা এখন পবিত্র মক্ক-মদিনায় অবস্থান নেয়া শুরু করেছেন। এই সব হাজীগণ পবিত্র হজ পালন শেষে প্রায় প্রত্যেকে জমজম পানি নিজে পান করার পাশাপাশি বয়ে নিয়ে যায় নিজের দেশে। কিন্তু আপনি জানেন কি, পবিত্র জমজম কূপের পানির কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য? যদি না জানেন তাহলে এখনই জেনে নিন, পবিত্র জমজম কূপের পানির ১০টি জানা অজানা তথ্য:
১. আল্লাহ তা’লার অসীম কুদরতে ৪০০০ বছর পূর্বে সৃষ্টি হয়েছিল।
২. ভারী মোটরের সাহায্যে প্রতি সেকেন্ডে ৮০০০ লিটার পানি উত্তোলন করার পরও পানি ঠিক সৃষ্টির সূচনা কালের ন্যায়।
৩. পানির স্বাদ পরিবর্তন হয়নি, জন্মায়নি কোন ছত্রাক বা শৈবাল।
৪. সারাদিন পানি উত্তোলন শেষে, মাত্র ১১ মিনিটেই আবার পূর্ণ হয়ে যায় কূপটি।
৫. এই কূপের পানি কখনও শুকায়নি, সৃষ্টির পর থেকে একই রকম আছে এর পানি প্রবাহ, এমনকি হজ্জ মৌসুমে ব্যবহার কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়া সত্বেও এই পানির স্তর কখনও নিচে নামে না।
৬. সৃষ্টির পর থেকে এর গুণাগুণ, স্বাদ ও এর মধ্যে বিভিন্ন উপাদান একই পরিমানে আছে।
৮. এই কূপের পানির মধ্যে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম সল্ট এর পরিমান অন্যান্য পানির থেকে বেশি, এজন্য এই পানি শুধু পিপাসা মেটায় তা না, এই পানি ক্ষুধাও নিবারণ করে।
৯. এই পানিতে ফ্লুরাইডের পরিমান বেশি থাকার কারণে এতে কোন জীবানু জন্মায় না ।
১০. এই পানি পান করলে সকল ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।