তারাবির নামাজ না পড়লেও কি রোজা হবে?

ইসলামিক শিক্ষা May 27, 2018 2,539
তারাবির নামাজ না পড়লেও কি রোজা হবে?

রোজাদার ব্যাক্তির রোজার সাক্ষী হিসেবে ধরা হয় তারাবি নামাজকে। অনেকেই আবার রোজা রেখেও তারাবির নামাজ পড়েন না। কিন্তু তারাবি নামাজ না পড়লে কি রোজা হবে?


এই সম্পর্কে হাদিসে বলা আছে। তারাবি নামাজের ফজিলত ও মর্যাদা সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াব প্রাপ্তির আশায় রমজানের রাতে তারাবি নামাজ আদায় করে, তার অতীতকৃত পাপগুলো ক্ষমা করা হয়।’ (বুখারি শরিফ, মুসলিম শরিফ)


পবিত্র মাহে রমজানে রোজা, তারাবি নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত ও অন্যান্য ইবাদতের দরুন আল্লাহ তাআলা রোজাদার ব্যক্তির পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেন।


রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমাণ ও আত্মবিশ্লেষণের সঙ্গে পুণ্য লাভের আশায় রোজা রাখেন, তারাবি নামাজ পড়েন এবং কদরের রাতে জাগ্রত থেকে আল্লাহর ইবাদত করেন, তাঁর জীবনের পূর্বের সব গুনাহ মাফ করা হবে।’ (বুখারি শরিফ,মুসলিম শরিফ)


রাসুলুল্লাহ (সা.) সর্বদা তারাবি নামাজ আদায় করতেন। তবে তিনি মাত্র চার রাত তারাবি নামাজ জামাতে পড়েছিলেন; কারণ যদি তিনি সর্বদা জামাতে তারাবি নামাজ আদায় করেন, তাহলে তাঁর উম্মতেরা ভাববে , হয়তো এ তারাবি নামাজ ফরজ।


হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) দুই রাতে ২০ রাকাত করে তারাবি নামাজ পড়িয়েছেন।


তৃতীয় রাতে লোকজন জমা হলেও রাসুলুল্লাহ (সা.) উপস্থিত হননি। পরদিন সকালে তিনি ইরশাদ করলেন, ‘আমি তোমাদের ওপর তারাবি নামাজ ফরজ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করেছি। তখন তা তোমাদের জন্য কষ্টকর হবে।’


তবে কেউ যদি তারাবির নামাজ ছেড়ে দেয়, সেক্ষেত্রে রোজার উপর এর কোন প্রভাব পরবে না । কেননা রোজা ও তারাবি দুটি ভিন্ন ভিন্ন স্বতন্ত্র ইবাদত । তাই রোজাদের ব্যাক্তি যদি তারাবি নামাজ নাও পড়েন সেটা রোজার উপর কোন প্রভাব ফেলবে না।