আমাকে বাঁচতে দাও,
বইয়ের রাজ্যসভার মাঝে।
চোখের পাতা হবে বইয়ের পাতা,
আমার চোখ হবে শব্দ।
আর আমি হবো,
সেই বইয়ের চরিত্র।
পাঠক আসবে আমায় পড়তে,
দিবা-রাত্রির মাঝে।
চেয়ে দেখবে আকাশের রূপ,
মানুষের ভালো থাকার দিক।
বই হলো মনের শক্তি,
পথ দেখাবে আলো।
আমি পাতা শব্দ করি,
পৃষ্ঠা শেষের দিকে।
পাঠক আমায় মনে রাখে,
কবরে যাওয়ার আগে।
আমি বই ক্ষমতা দেই,
রক্তের মিছিল ছাড়া।
তোমরা সবাই এসো,
শিখার মানুষ হতে।
আমার চোখের দৃষ্টি,
আবৃত্তি করে কবিতা।
সেই কবিতার ধ্বনি,
চিৎকার করে বলে।
কেমন ক্ষমতা!
আমায় বাঁচতে দেয় না।
আমি পাঠক,
বইয়ের সুখে কান্না করি।
এমন চরিত্রায়ন এলো,
আর আমরা লাশের মিছিলে!
চিৎকার করে বলি,
ক্ষমতা চাই – না হয় লাশ চাই।
কেন? কেন? কেন?
তোমরা মিছিল ছাড়ো,
আমার দৃষ্টিতে দেখ।
সে কবিতা বলে,
মনের সুখের ঘরে।
আমি পাগল সুখের পাগল,
আমি পাগল জ্ঞানের মাতাল।
বইয়ের রাজ্যসভা আমায়,
শাস্তি দিবে রাতের আঁধারে।
চোখের পাতা শব্দ করে,
নতুন লেখার মাঝে।
আমরা লেখক কলম ধরি,
রাষ্ট্রের চাবি হয়ে।
আমি পাগল বইয়ের,
অচিনপুর দেশের মাঝে।
তোমরা পড়ো কবিতার সুরে,
গল্প হবে না সভার স্থলে।