বর্তমানে কোন কিছুই অবহেলা করার মত না। প্রত্যেক প্রাকৃতিক উপাদানের কিছু গুণ আছে,যা অনেক উপকারী। শুনলে অবাক হবেন, এই উপাদান ত্বককে সুস্থ রাখতে বেশ কার্যকর। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক ডিমের খোসা কিভাবে ব্যবহার করবেন।
তারুণ্য ধরে রাখে
এক টেবিল চামচ ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে এক চা চামচ গুড় ও একটি ডিমের খোসা গুঁড়া করে একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের বয়সের ছাপ কমিয়ে তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
কালচে ভাব দূর করে
একটি ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে এক টেবিল চামচ ডিমের খোসার গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাক মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের কালচে দাগ সহজেই দূর করবে।
ত্বকের সংক্রমণ দূর করে
ডিমের খোসা ভালো করে গুঁড়া করে নিন। এবার এক কাপ আপেল সিডার ভিনেগারের মধ্যে এই গুঁড়া কয়েক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর এই প্যাক পুরো মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বকের সংক্রমণ জাতীয় সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে।
ত্বক পরিষ্কার করে
তিন টেবিল চামচ ডিমের খোসার গুঁড়ার সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক পরিষ্কার ও দাগহীন হবে।
বলিরেখা দূর করেঃ
এক টেবিল চামচ চিনির সঙ্গে ডিমের সাদা অংশ ও ডিমের খোসার গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এবার এই প্যাক মুখে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এতে সহজেই ত্বকের বলিরেখা দূর হবে।
ত্বক নরম করে
অ্যালোভেরার রসের সঙ্গে ডিমের খোসার গুঁড়া মিশিয়ে ত্বকে হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন। এটি ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে এবং মরা কোষ দূর করে ত্বককে নরম ও মসৃণ করে।
সূত্র: বোল্ডস্কাই