চুল আমাদের আত্মবিশ্বাসের ওপর প্রভাব ফেলে। ভালো হোক বা খারাপ, চুল আমাদের অনুভূতিকেও প্রভাবিত করে। বর্তমানে চুল ঝরে যাওয়া একটি সাধারণ সমস্যায় পরিণত হয়েছে। সবার একই অভিযোগ চুল পড়ে যাচ্ছে। আর এ কারণে সমাধান খুঁজতে দৌড়াতে হচ্ছে পার্লার এবং সেলুনে।
সাধারণত দুশ্চিন্তার কারণে চুল পড়া বেড়ে যায়। এছাড়া পুষ্টির ঘাটতি, চুলের সঠিক যত্ন না নিলে বাড়ে চুলের শুষ্কতা এবং চুল ঝরে যায়, আবহাওয়ার পরিবর্তন, দূষণ, আর্দ্রতা এবং কার্লার, স্টিমারস, স্ট্রেইটনারস এবং ড্রাইয়ারের অতিমাত্রায় ব্যবহারে চুলের ক্ষতি হয়।
তবে এ নিয়ে চিন্তা না করে বরং আমাদের চুল ঝরার কারণ খুঁজে বের করা উচিত। এ ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন লোটাস হারবাল বিউটি পার্লারের কর্ণধার জান্নাত এনাম রিমি - কিছু বিষয়ে সাবধান থাকলেই এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
▶বিস্তারিত নিম্নে দেয়া হল;
* চুলে প্রায়ই মাইল্ড শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত। চুলে নিয়মিত নারিকেলের তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে ও চুলকে করে আরও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও মজবুত করে।
* গরম পানিতে গোসল এবং ড্রাইয়ার ব্যবহার পরিহার করা উচিত কারণ অতিরিক্ত তাপ চুলকে শুষ্ক করে ও চুলের ক্ষতি করতে পারে।
* চুলকে বেশি শক্ত করে বাঁধা উচিত নয়। এ কারণে চুলের ফাইবারের ক্ষতি হতে পারে ও চুল ভেঙে যায়।
* চুল পড়া কমানোর আরেকটি উপায় হচ্ছে ইয়োগা এবং মেডিটেশন; যার মাধ্যমে মানসিক চাপ কমে যায়।
* অফিস এবং বাসার কাজের মধ্যে ছোট্ট বিরতি নিন এবং বিশ্রাম করুন। প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।
* চুল প্রাকৃতিকভাবে শুকানো চুলের জন্য সবচেয়ে ভালো।
* পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করুন।
* চুলের জন্য বিশ্বাসযোগ্য পণ্য ব্যবহার করুন।
* চুলের আগা ফেটে যাওয়া রোধ করতে নিয়মিত চুল কাটুন।
* ভেজা অবস্থায় চুল আঁচড়াবেন না।
* ঘন দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
* আঁটসাঁট মাথার ক্যাপ ব্যবহার পরিহার করুন, এ কারণে ঘাম হয় যা চুল পড়ার অন্যতম কারণ।
* ভেজা অবস্থায় চুল বাঁধবেন না এবং চুল বেশি শক্ত করে বাঁধবেন না।