প্রশ্ন : তওবা অথবা ইসতেগফারের ফলে যে গুনাহ মাফ হয়, তার হিসাব কি হাশরের ময়দানে দিতে হবে?
উত্তর : যদি কোনো গুনাহ আল্লাহ সুবানাহুতায়ালা মাফ করে দেন, তাহলে তার হিসাব দিতে হবে না। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘গুনাহ থেকে তওবাকারী ব্যক্তি হচ্ছে ওই ব্যক্তির মতো, মনে হয় যে তাঁর কোনো গুনাহই নেই।
সুতরাং সত্যিকার তওবা যদি আল্লাহ সুবানাহুতায়ালার কাছে আপনি করে থাকেন, তাহলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আপনার এই তওবা কবুল করবেন। তওবা কবুল হলে আপনার গুনাহ একেবারেই মুছে যাবে।
‘আল্লাহ সুবানাহুতায়ালা যাঁদের তওবা কবুল করে থাকেন, তাঁদের গুনাহসমূহকে আল্লাহ সুবানাহুতায়ালা মিটিয়ে দেন, মুছে দেন।’
সুতরাং আল্লাহতায়ালা যাঁদের তওবা কবুল করেন, তাঁদের গুনাহগুলোকে একেবারে মিটিয়ে দেন। শুধু তাই-ই করেন না, বরং আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁদের যে গুনাহগুলো আছে, সেগুলো পুণ্যের কাজে পরিপূর্ণ করে দেন।
সুতরাং কেয়ামতের দিন প্রশ্নের বা জবাবদিহিতার মুখোমুখি আর হতে হবে না। কিন্তু সেই তওবাটুকু আপনাকে জানতে হবে, সেই তওবা সত্যিকার তওবা হতে হবে, যেই তওবার কথা রাসুল (সা.) আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন।
এই তওবার কথা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেছেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে তওবা করো একেবারেই নিষ্কলুষ তওবা করো যে তওবার মধ্যে কোনো ধরনের কলুষতা নেই, কোনো ধরনের কৃত্রিমতা নেই।
এমন অকৃত্রিম তওবা যদি করতে পারো, খাঁটি তওবা করতে পারো, তাহলেই সেটা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে এবং আল্লাহ সুবানাহু তায়ালা সেই তওবার মাধ্যমে তোমাদের যেই গুনাহগুলো আছে, সেই গুনাহগুলোকে ক্ষমা করে দেবেন।’
সূত্রঃ আপনার জিঙ্গাসা, এনটিভি অনলাইন