তৈলাক্ত ত্বকের প্রাকৃতিক প্রতিকার

রূপচর্চা/বিউটি-টিপস April 3, 2017 837
তৈলাক্ত ত্বকের প্রাকৃতিক প্রতিকার

বিশেষ করে গরমকালে সমস্যা হয় বেশি। তবে লেবু, টমেটো বা শসার মতো প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ত্বকের তৈলাক্তভাব কমানো যায়।


রূপচর্চাবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ঘামের সঙ্গে অতিরিক্ত ‘সিবাম’ মিশ্রিত হয়ে ত্বকে নানান সমস্যা তৈরি করে। যেমন- লোমকূপ বড় হয়ে যাওয়া, 'হোয়াইট হেডস' এবং 'ব্ল্যাক হেডস' তৈরি ইত্যাদি।


এসব সমস্যা থেকে পরিত্রাণের জন্য রয়েছে প্রাকৃতিক উপাদান।


লেবুর রস: লেবুর ‘অ্যাস্ট্রিনজেন্ট’ উপাদান অতিরিক্ত তেল পরিষ্কার করার পাশাপাশি ত্বক উজ্জ্বল ও সতেজ রাখতে সাহায্য করে।


পানির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে, একটি তুলার বলের সাহায্যে ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।


টমেটো: লোমকূপ সংকুচিত করে এবং ত্বকে আনে উজ্জ্বলভাব। টমেটো টুকরা করে কেটে তা সারা মুখে ঘষে নিন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।


শসা: ত্বক সতেজ রাখতে এই সবচি চমৎকার কাজ করে। ত্বকের তেলও কমায়। নিয়মিত শসা ব্যবহার করলে ত্বকের দাগছোপ দূর হয়।


ডিমের সাদা অংশ: ত্বক টানটান রাখতে সাহায্য করে এবং তেল উৎপাদন হওয়া কমায়। পাশাপাশি ত্বক প্রোটিনে পুষ্ট রাখে।


অ্যাপল সাইডার ভিনিগার: এটি ধীরগতিতে কাজ করে এবং তা প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে কাজ করে। ত্বকের অতিরিক্ত তেল কমিয়ে উজ্জ্বলভাব আনে।


ক্লে-মাস্ক: তেল শোষণের জন্য সুপরিচিত। ত্বকের অতিরিক্ত তেল কমাতে এটি সবচেয়ে বেশি কার্যকর।


তেল মুক্ত ত্বক পেতে সপ্তাহে একবার পানি অথবা গোলাপ জলের সঙ্গে মিশিয়ে ক্লে-মাস্ক ব্যবহার করুন।


বেইকিং সোডা: তেল ও জীবাণু দূর করতে বেইকিং সোডা অতুলনীয়। এটি প্রাকৃতিক 'এক্সফলিয়েটর' হিসেবে কাজ করে।


পানির সঙ্গে বেইকিং সোডা মিশিয়ে মুখে লাগান। এটি তেল শুষে নেবে। আর যখন ঘষে ঘষে মুখ থেকে বেইকিং সোডা পরিষ্কার করবেন তখন ত্বকের মৃত কোষ দূর করবে।


সামদ্রিক লবণ: লোমকূপ পরিষ্কার রেখে তেল উৎপাদনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার পাশাপাশি এর ব্যাকটেরিয়া-রোধী উপাদান ত্বকে জীবাণুর কারণে হওয়া ব্রণ কমাতে সাহায্য করে।


ময়দা: ময়দা ত্বকের অতিরিক্ত তেল এবং মৃত কোষ পরিষ্কার করে। নিয়মিত ময়দা ও পানি দিয়ে তৈরি মাস্ক ব্যবহার করলে তা জাদুর মতো কাজ করবে।


বরফের টুকরা: ত্বক থেকে তেল দূর করা এবং শীতল রাখার সবচেয়ে দ্রুত ও সহজ উপায় হল বরফ ঘষা।


ত্বকে বরফ ঘষলে লোমকূপ সংকুচিত হয় এবং মুখে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। ফলে ত্বকে আসে উজ্জ্বলভাব।