গরম মানেই ত্বকের জন্য একটু বাড়তি যত্ন। এসময় ঘামের কারণে আমাদের শরীর থেকে প্রয়োজনীয় পানি বের হয়ে যায়। আবার রোদ আর ধুলোর কারণেও ত্বকের বারোটা বাজে। গরমে দিনে ২.৫ লিটার পানি খাওয়া ছাড়াও শরীরে আরও পানীয় যাওয়া দরকার। ফলের রস খেতে পারেন। বিশেষ করে তরমুজ বা আনারসের। তাছাড়া রোজ সকালে নিজেই ডিটক্স ওয়াটার বানিয়ে নিন। এক লিটার পানিতে কয়েকটা শসার গোল করে কাটা টুকরো, একটা লেবুর রস আর কিছু পুদিনা পাতা ভিজিয়ে রাখুন। সারাদিনে একটু একটু করে খাবেন। এতে হজমক্ষমতাও বাড়বে। চাইলে দু’টুকরো তরমুজও দিতে পারেন এতে।
ফেসস্ক্রাব দিয়ে ত্বক এক্সফোলিয়েট না করলে ধুলো-ময়লা জমে ত্বকের কোষগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। এতেই ব্রণের সমস্যা বেড়ে যায়। তাছাড়া বাতাসে আর্দ্রতা বাড়লে মুখ বারবার ঘেমে ফ্যাকাসে দেখাবে। তাই মৃত কোষগুলো সরিয়ে ফেলার জন্যেও স্ক্রাবিং প্রয়োজন। কোনো একটা মাইল্ড ফেসস্ক্রাব ব্যবহার করবেন। এরপর ভালো করে ধুয়ে মুখে টোনার লাগান। স্পর্শকাতর ত্বক হলে অ্যালকোহল-ফ্রি টোনার ব্যবহার করাই ভালো। অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন।
ময়েশ্চারাইজার লাগাতে ভুলবেন না। তার আগে কোনও একটা সেরাম লাগাতে পারলে আরও ভালো। গরমে ট্যানিংয়ের সমস্যার জন্যে আমরা ক্লে মাস্ক বা চারকোল মাস্ক লাগাই। কিন্তু এতে ত্বকের আর্দ্রতা অনেকটা কমে যায়। তাই সপ্তাহে দু’দিন হাইড্রেটিং মাস্ক লাগানো প্রয়োজন। হলুদ, দুধ আর মধু দিয়ে বাড়িতেই এই ধরনে প্যাক বানিয়ে নিতে পারেন। তবে যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাদের দুধে সমস্যা হতে পারে। তার বদলে শসা-অ্যালোভেরার প্যাক লাগালে উপকার পাবেন।
রোদে বের হলে অনেকের ত্বক পুড়ে লালচে র্যাশ বেরিয়ে যায়। তাদের দুপুর ১২টা থেকে ৩.৩০টা অবধি বাইরে যাওয়া এড়াতে হবে। একান্তই বের হতে হলে সানস্ক্রিন, রোদচশমা আর স্কার্ফ বা ছাতা নিয়ে বের হবেন। বাড়ি ফিরে একটা পাতলা সুতির কাপড়ের কয়েক টুকরো বরফ নিয়ে পোড়া জায়গাগুলোর উপর আলতো করে বুলিয়ে নিন। তারপর মুছে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে রাখুন। খুব সমস্যা হলে ডার্মাটোলজিস্টের কাছে অবশ্যই যাবেন।
দুই-তিন ঘণ্টা পরপর সানস্ক্রিন লাগানো প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে একটা সানস্ক্রিন স্প্রে সঙ্গে রাখতে পারেন। মনে রাখবেন মুখের জন্য এক চা-চামচ পরিমাণে সানস্ক্রিন প্রয়োজন। আর হাত-পা, গলা, পিঠের জন্যে একটা শট গ্লাসে যতটা পরিমাণ সানস্ক্রিন ধরবে, ততটা লাগানো উচিত।