তৈলাক্ত ত্বক, জিনগত সমস্যা কিংবা দূষণের কারণে ত্বকে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। এগুলো ছাড়াও বেশ কিছু কারণে ব্রণ হয়, যা আমাদের অবহেলার জন্য ঘটে। এগুলো এড়িয়ে চললেই ব্রণের সমস্যা থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন। নিচে প্রকাশিত এই পাঁচটি কারণ একনজরে দেখে নিন।
মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার না করা
অনেকেই মুখ ভালো করে পরিষ্কার করেন না। এর ফলে মুখে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। তাই ভালো মানের ক্লিনজিং প্রসাধনী দিয়ে দিনে অন্তত দুবার মুখ পরিষ্কার করুন। এতে মুখে ময়লা ও ধুলাবালি জমে থাকবে না, যা ব্রণের প্রধান কারণ। তবে ক্ষারজাতীয় প্রসাধনী ত্বককে অনেক বেশি শুষ্ক ও মলিন করে দেয়। তাই মাইল্ড প্রসাধনী ব্যবহার করুন।
প্রতিদিন দুগ্ধজাত পণ্য খাওয়া
দুগ্ধজাত পণ্যে প্রচুর পরিমাণে আইজিএফ-১ হরমোন রয়েছে, বিশেষ করে দুধে এই উপাদান বেশি থাকে। এটি ত্বকে প্রদাহের কারণ। বেশি দুগ্ধজাত পণ্য খেলে মানুষের লিভারে এই হরমোন উৎপাদন হতে শুরু করে। এর ফলে ত্বকে অতিরিক্ত সিবাম উৎপাদন হয়, যা লোমকূপের মুখ বন্ধ করে দেয়। এতে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। তাই যতটা পারুন দুগ্ধজাত পণ্য এড়িয়ে চলুন, বিশেষ করে যাদের ব্রণের সমস্যা রয়েছে।
স্মার্টফোন অতিরিক্ত ব্যবহার করা
ব্রণের অন্যতম কারণ হলো স্মার্টফোন ব্যবহার করা। সারাক্ষণ ফোনে কথা বললে মুখে ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়ে। এই ব্যাকটেরিয়ার কারণে মুখে ব্রণের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই ফোন দিয়ে সরাসরি কথা বলার থেকে হেডফোন ব্যবহার করুন।
বডি ক্রিম মুখে ব্যবহার করা
বডি ক্রিম বা বডি লোশন শুধু শরীরের জন্যই ভালো, মুখের জন্য নয়। শরীরে লোশন বা ক্রিম ব্যবহারের সময় আমরা চট করেই মুখেও লাগিয়ে ফেলি। এর ফলে ব্রণের পরিমাণ বেড়ে যায়। মুখের ক্রিম সাধারণত তেল ও ঘ্রাণমুক্ত হয়। আর লোশনে তেলের পরিমাণ বেশি থাকে এবং অতিরিক্ত ঘ্রাণ থাকে। এর ফলে মুখে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়।
ডায়েট সমস্যা
মিষ্টিজাতীয় খাবার ত্বকের জন্য খুব একটা ভালো না। চিনিযুক্ত খাবারগুলো ব্রণের প্রধান কারণ। তাই চিনি, কার্বোহাইড্রেট ও ফাস্টফুড এড়িয়ে চলুন, যদি ত্বক ব্রণমুক্ত রাখতে চান! এ ছাড়া বেশি করে ফল ও শাকসবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন।