ফজরের আজানের পর মাইকে হামদ পড়া কি জায়েজ?

ইসলামিক শিক্ষা January 22, 2017 2,488
ফজরের আজানের পর মাইকে হামদ পড়া কি জায়েজ?

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’।


জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।


আপনার জিজ্ঞাসার ১৯২৬তম পর্বে ফজরের আজানের আগে বা পরে মসজিদের মাইকে হামদ, নাত পড়া বা ওয়াজ করা ঠিক কি না, সে সম্পর্কে বরিশালের মুলাদী থেকে চিঠিতে জানতে চেয়েছেন বেলায়েত হোসেন ফারুকী। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।


প্রশ্ন : ফজরের আজানের আগে বা পরে মসজিদের মাইকে হামদ, নাত, কোরআন পাঠ করা, ওয়াজ করা ও নামাজের জন্য ডাকাডাকি করা সওয়াবের কাজ নাকি গুনাহের কাজ?


উত্তর : ফজরের আজানের আগে বা পরে মসজিদের মাইকে ডাকাডাকি করা, সালাতের জন্য আহ্বান করা, হামদ-নাত পড়া, ওয়াজ করা অথবা দরুদ পড়া, সবটাই গুনাহের কাজ এবং বিদআত। এটি শরিয়তে নিষিদ্ধ ও গর্হিত কাজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।


শুধু আজানটাই এখানে বৈধ এবং আজানটাই হচ্ছে সালাতের আহ্বান। তাই কোনোভাবেই এর মধ্যে নতুন করে কিছু আবিষ্কার করার কোনো বৈধতা নেই। যদি প্রয়োজন হতো, অবশ্যই আল্লাহর নবী (সা.) বলতেন যে, আজানের আগে আবার আহ্বান করো। আজানই তো আহ্বান, আজানের মাধ্যমেই তো আমরা সালাতের জন্য আহ্বান করে থাকি।


তাই আজানের পরে আর অতিরিক্তভাবে, নামাজের সময় হয়ে গিয়েছে, নামাজের ওয়াক্ত হয়ে গিয়েছে, জামাত শুরু হয়ে যাচ্ছে, আপনারা আসুন, ইত্যাদি বক্তব্য দেওয়া হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত হয়নি এবং সালফেস সালেহিনের আমল দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে যে, তাঁরা এ কাজকে কঠিনভাবে নিষেধ করেছেন। তাই এ কাজগুলো বৈধ নয়।


আর রাসূল (সা.) যা করেছেন, আমাদের তাই করতে হবে। এ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত করার কোনো সুযোগ নেই। কেউ করলে বোঝা গেল যে আল্লাহর রাসূল (সা.) যে কাজটি করেছেন, তার চেয়েও আমরা অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছি। রাসূল (সা.) যা করেছেন, সেটাই সংগত। সেটাই যথাযথ। সেটাই সুন্দর। সেটাই যথেষ্ট এবং সেটাই আমাদের আদর্শ।