শীতের মৌসুমে একনির বাড়তি ঝামেলা পেরেশানি দেয়। অনেকে ভাবেন, শীতকালে হয়তো এ সমস্যা দেখা দেয় না ত্বকে। শীতে বেশ কয়েকটি কারণে একনি তীব্র আকার ধারণ করতে পারে। এ সময় ত্বক হয়ে পড়ে পুরোপুরি শুষ্ক। ফলে একনি হওয়ার আদর্শ অবস্থায় পৌঁছে ত্বক। শুষ্ক মাথায় খুশকি হওয়ার কারণেও ত্বকে একনি দেখা দেয়। আরেকটি বড় কারণ হলো, শীতে সাধারণত উষ্ণ পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলেন আপনি। এতে ত্বকের প্রতিরক্ষার স্তরটি নষ্ট হয়ে যায়। ফলে সহজেই একনি দেখা দেয়।
• এখানে দেখে নিন শীতের একনি থেকে বাঁচার ৫টি উপায়ের কথা...
১. বালিশের কাভার পরিষ্কার রাখন: একনির অন্যতম কারণ ময়লা বালিশের কাভার। চুলের ময়লা বা তেল লেগে যায় বালিশে। এগুলো আবার মুখে চলে আসে। তাই দুই দিন অন্তর অন্তর বালিশের কাভার বদলের কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা। এতে ত্বকে ময়লা লাগবে না। ফলে এনকিও উঠবে না।
২. মধ্যম এক্সফোলিয়েশন: শীতকালে ত্বক এক্সফোলিয়েট করা ক্ষতির কিছু নয়। প্রতি ১০ দিনের মধ্যে ২-৩ বার এক্সফোলিয়েট করুন। এতে ত্বকের মৃত অংশগুলো উঠে যায়। এই মৃত ত্বক লোমকূপের গোড়া বন্ধ করে দেয়। ফলে একনি ওঠে।
৩. ময়েশ্চার প্রতিদিন: ত্বককে ময়েশ্চারসমৃদ্ধ রাখতে হবে। নয়তো একনি উঠতেই থাকবে। তবে এমন ময়েশ্চার ব্যবহার করতে হবে যেন তা লোম কূপের গোড়া না আটকে দেয়।
৪. হাইড্রেশন: শীতকালে তৃষ্ণা পায় না মানেই যে পানির দরকার নেই তা কিন্তু নয়। যথেষ্ট পরিমাণ পানি খেতে হবে। দেহে প্রতিনিয়ত পানির প্রয়োজন হয়। বিষাক্ত উপাদানগুলো দূর করতেও পানি দরকার।
৫. পরিচ্ছন্নতা: গরম নয়, স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা একনি দূরে রাখার অন্যতম উপায়। গরম পানিতে ত্বকের স্বাভাবিক ময়েশ্চার নষ্ট হয়ে যায়। হালকামানের ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারেন ত্বক পরিষ্কারের কাজে।