ইসলামের আলোকে রিজিক-উপার্জনে বরকত লাভের আমল!

ইসলামিক শিক্ষা October 25, 2016 1,449
ইসলামের আলোকে রিজিক-উপার্জনে বরকত লাভের আমল!

একটি ছোট পাখি, বা তার থেকেও ছোট পিঁপড়ে কিংবা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অনুজীবী যাঁদের মানুষের মত খাদ্যের উপর ভরসা করে বাচতে হয় তাদের খাদ্যের সংস্থান কোথা থেকে কিভাবে হয়? তাদের না আছে ফসল উৎপাদনের ক্ষমতা অথচ আল্লাহ তায়ালা তাদের জন্য প্রতিনিয়ত উত্তম রিজিকের ব্যাবস্থা করে চলেছেন।


সৃষ্টিজগতের শ্রেষ্ঠ মানুষকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন জ্ঞান-গরিমায় পূর্ন করে পাঠিয়েছেন। তারপরেও এই মানুষকেই তার অন্যতম মৌলিক চাহিদা খাদ্যের জন্য প্রতিনিয়ত লড়াই করতে হয়! মারামারি কাটাকাটি এমনকি যুদ্ধে জড়াতেও মানব সম্প্রদায় কার্পণ্য করেনা শুধুমাত্র খারাবের জন্য। খাদ্যের নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তার জন্য জীবনের বড় একটা অংশ এর পেছনেই ব্যায় করে ফেলে। অনৈতিক পন্থানুসরণ করার মাধ্যমে নিজের অখেরাত বর্বাদ করতে পিছপা হয় না।


আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নিষেধ করা হারাম পন্থায় উপর্যনে নিজের জীবনের বড় একটা অংশ ব্যায় করে । অথচ আল্লাহ বলছেন সবার জন্য রিজিক বন্টনকৃত।মানুষ তার উপরে দেয়া রিজিকে কখনো সন্তুষ্ট হয় না। তার অভাব অভিযোগ সুয়াল লেগেই থাকে।


নবীজি সা. বলেছেন:”আল্লাহ বান্দাকে যা দিয়েছেন, তা দিয়ে পরীক্ষা করেন। বান্দা যা তাকে দেয়া হয়েছে, তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে, আল্লাহ বরকত বাড়িয়ে দেন। প্রাচুর্য দান করেন। অন্যথায় বরকত লাভে বঞ্চিত হয় (মুসনাদে আহমাদ)”।


আল্লাহ তায়ালায় সম্মানিত নাম সমুহের মধ্যে একটা রাজ্জাক অর্থাৎ রিজিক দাতা। আল্লাহ মানব জাতি সৃষ্টি করে তার রিজিক বন্টন করে দিয়েছেন। মানুষতার কর্মফলে নিজের উপর এতবেশী বে-ইনসাফি করেছে যে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যে মানুষের জন্য রিজিক কে সহজ লভ্য করে দিয়ে ছিলেন বর্তামান সময়ে তা ক্রমে কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে যাচ্ছে। মানুষতার সৃষ্টি কর্তার উপর তাওয়াক্কুল ছেড়ে দিয়ে ক্রমশ আসবাবের উপর নির্ভরশীল হয়ে পরছে যার ফলে আল্লাহ তার রিজিক থেকে বরকত উঠিয়ে নিয়েছেন। তার জায়গা পূর্ন করে দিয়েছেন সীমাহীন পেরেশানি দিয়ে। মানুষ ধারেধারে ঘুরে ফিরছে আর তার হতাশা পেরেশানি ক্রমশ বেড়ে চলেছে অথচ মানুষ যদি ইমান আনার পাশাপাশি আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করতো, তবে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার জন্য বরকতের দরজা খুলে দিতেন। তার জন্য যমিন তার খাজানা উন্মুক্ত করেদিত। তার ইবাদত তার অল্প আয়ে তুষ্ট করতো ফলে সামান্য রিজকে তার মনতুষ্টি হতো।


নবীজি সা. বলেছেন:”যদি তোমরা আল্লাহর ওপর সত্যিকার তাওয়াক্কুল করো, আল্লাহ তোমাদেরকে পাখির মতোই রিযিক দান করবেন। পাখি খালি পেটে সকালে বের হয়, ভরপেট হয়ে সন্ধ্যায় ফেরে। (তিরমিযী)”।


পশুপাখি, ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অনুজীবকে আল্লাহ যেমন রিজিক দান করেন শ্রেষ্ঠ মাখলোকের জন্যও আল্লাহর নিকট রয়েছে উত্তম রিজিক। মানুষ যখন তার রিজিকে সন্তুষ্ট হবে এবং আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করবে তখন তারজন্য বরকতের ফোয়ারা বয়ে যাবে। তার অল্প রিজিকেও সে পাবে সীমাহীন তৃপ্তি যা তাকে বেশীবেশী ইবাদতে মশগুল হতে প্রেরনা জোগাবে। আল্লাহ তায়ালা সবাইকে তারদেয়া রিজিকে সন্তুষ্টি এবং তার উপর পূর্ন তাওয়াক্কুল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।