এবার বিপিএলে ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের বিশ্বরেকর্ড

ক্রিকেট দুনিয়া January 2, 2025 221
এবার বিপিএলে ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের বিশ্বরেকর্ড

বিপিএলে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন তাসকিন আহমেদ। একইসঙ্গে রেকর্ড বইয়ের পাতায় স্থান করে নিয়েছেন দুর্বার রাজশাহীর এই বোলার। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে একাই সাত উইকেট নিয়ে ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার, ঘরোয়া, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও অনন্য উচ্চতায় উঠেছেন এই বাংলাদেশি পেসার।


বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন ডানহাতি এই পেসার। আন্তর্জাতিক ও যেকোনো ধরনের স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তৃতীয় বোলার হিসেবে ৭ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন তিনি।


ইনিংস শেষে তাসকিনের বোলিং বিশ্লেষণ ৪-০-১৯-৭। বাংলাদেশের কোনো বোলারের সেরা বোলিং পারফরম্যান্স এটিই। এছাড়া বিপিএলের ইতিহাসেও এটি সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড।


বিপিএলে এর আগে সেরা বোলিং ছিল মোহাম্মদ আমিরের। ২০২০ সালে খুলনা টাইগার্সের হয়ে রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে ১৭ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন এই পাকিস্তানি পেসার। আর বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে বিপিএলে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডটি এতদিন ছিল রংপুর রাইডার্সের হয়ে আবু হায়দারের, ১২ রানে ৫ উইকেট।


গত বছর চীনের বিপক্ষে ৮ রান দিয়ে ৭ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন মালেয়েশিয়ার পেসার সিয়াজরুল ইদ্রুস। তার আগে ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে লেস্টারশায়ারের হয়ে বার্মিংহাম বিয়ার্সের বিপক্ষে ১৮ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন কলিন আকারম্যান।


টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড ছিল সাকিব আল হাসানের। ২০১৩ সালে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে বারবাডোজ ট্রাইডেন্টসের হয়ে ৬ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।


এদিকে, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দারুণ জয় পেয়েছে দুর্বার রাজশাহী। বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ঢাকা ক্যাপিটালসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে টুর্নামেন্টের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে তারা। আর টানা দুই ম্যাচ হেরে ঢাকা পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে অবস্থান করছে।


বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তাসকিন আহমেদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের কাছে পরাস্ত হয় ঢাকা। যদিও যথেষ্ট রান তুলেছিল তারা। শাহাদাত হোসেনের হাফ সেঞ্চুরির পর স্টিফেন এক্সিনজির ৪৭ রানের ইনিংসের ফলে ঢাকার সংগ্রহ ১৭৪ রানে দাঁড়ায়।


জবাবে ৩১ রানে দুই ওপেনারকে হারায় রাজশাহী। তবে তৃতীয় উইকেটে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। এনামুল হক বিজয় ও ইয়াসির আলী মিলে গড়েন ৪২ রানের জুটি। ইয়াসির ২০ বলে ২২ রান করে আউট হলে জুটি ভাঙে তাদের। এরপর রায়ান বার্লের সাথে ৫৬ বলে অবিচ্ছিন্ন ১০৬ রানের জুটিতে জয় পেয়ে যায় রাজশাহী। এনামুল ৪৬ বলে করেছেন ৭৩ রান। অন্যদিকে ৩৩ বলে বার্ল খেলেন ৫৫ রানের ইনিংস। তাদের এই জুটির ওপর দাঁড়িয়ে ১১ বল আগেই ৩ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে ফেলে রাজশাহী।


ঢাকার বোলারদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান, মুকিদুল ইসলাম ও আলাউদ্দিন বাবু প্রত্যেকে একটি করে উইকেট নেন।


শুরুতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ঢাকার অধিনায়ক থিসারা পেরেরা। কিন্তু ব্যাটিং নিয়ে চাপে পড়ে যায় দলটি। শুরুতেই দুই ওপেনার লিটন দাস (০) ও তানজিদ হাসান (৯) দ্রুত সাজঘরে ফেরেন। এরপর ৪৭ বলে শাহাদাত ও স্টিফেন মিলে গড়েন ৭৯ রানের জুটি। এই জুটির প্রতিরোধে ঢাকা কোনোমতে ১৭৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারে।


ঢাকার ব্যাটিং লাইনআপকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলেন তাসকিন আহমেদ। শাহাদাতের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৫০ রান আর স্টিফেন খেলেন ৪৬ রানের ইনিংস। রাজশাহীর বোলারদের মধ্যে তাসকিন ১৯ রানে সাতটি উইকেট নিয়েছেন। রাজশাহীকে গুঁড়িয়ে দিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তাসকিন।