জিম্বাবুয়ের দেয়া স্বল্প পুঁজির টার্গেট ৮ উইকেটে ও ২৮ বল হাতে রেখেই টপকে গেছে টাইগাররা। যদিও ম্যাচে ৩টি লাইফ পেয়েছিলেন তামিম। এ জয়ের ফলে ৫ ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
শুক্রবার (৩ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। আগে ব্যাট করে জিম্বাবুয়ে টাইগার বোলারদের তোপে পড়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান সংগ্রহ করে। জবাবে বাংলাদেশ ১৫.২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান সংগ্রহ করে। তানজিদ তামিম অপরাজিত ৬৭ ও তাওহিদ হৃদয় ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন।
জিম্বাবুয়ের দেয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে এদিন আরও একবার ব্যর্থ হন লিটন দাস। দলীয় ৫ রানে মুজারাবানির বলে বোল্ড হয়ে দলকে বিপদে ফেলে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। এরপরই বৃষ্টি আঘাত হানে। বৃষ্টি থামলে খেলা শুরু হওয়ার পর অধিনায়ক শান্তকে নিয়ে ৫২ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন তামিম। এর মধ্যে আরও একবার বৃষ্টি ম্যাচে ব্যাঘাত ঘটায়। দলীয় ৫৭ রানে শান্তকে ফেরান লুক জঙ্গি।
এরপর দলের জয়কে দ্রুত পাইয়ে দিতে জিম্বাবুয়ের বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন তাওহিদ হৃদয়। অপরপ্রান্তে থাকা তামিম ছিলেন কিছুটা শান্ত। হৃদয় এ সময় ব্যাটকে খাপ খোলা তরবারি বানিয়ে সফরকারি বোলারদের কচুকাটা করেন। শেষ পর্যন্ত তামিম ৪৭ বলে ৮ চার ও ২ ছয়ে ৬৭ রানে এবং হৃদয় ১৮ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৩৩ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয় পাইয়ে দিয়ে মাঠ ছাড়েন।
এর আগে টসে জিতে বোলিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই সফলতা ধরা দেয় টাইগারদের হাতে। ওপেনার ক্রেইগ আরভিনকে বোল্ড করেন শেখ মেহেদি। তখন জিম্বাবুয়ের দলীয় রান মাত্র ৮।
পঞ্চম ওভারের শেষ বলে সফরকারী শিবিরে আবারও আঘাত হানে টাইগাররা। এবার বোলার ইনজুরি কাটিয়ে ১৮ মাস পর দলে ফেরা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তিনি জয়লর্ড গাম্বিকে ব্যক্তিগত ১৭ রানে তাসকিনের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান। তখন দলীয় রান ৩৬।
এরপর একই রানে আরও দুই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ব্রায়ান বেনেট হন রানআউটের শিকার আর অধিনায়ক সিকান্দার রাজাকে ফেরান শেখ মেহেদি। ম্যাচে এটি মেহেদি দ্বিতীয় শিকার। এরপর দুই রান যোগ করতেই বিদায় নেন শন উইলিয়ামস।
তাকে বোল্ড করেন তাসকিন আহমেদ। একই রানে রায়ার্ন বার্লকে রিশাদের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান তাসকিন। ম্যাচে এটি তাসকিনের দ্বিতীয় শিকার। এরপর দলীয় ৪১ রানে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন লুক জঙ্গিকে হৃদয়ের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান। যা সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার।
পরবর্তীতে ৮ম উইকেটে জিম্বাবুয়ের হয়ে মাসাকাদজা ও মানদান্দে প্রতিরোধ গড়েন। এ দুজন ৭৫ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ১১৬ রানে মানদান্দেকে বোল্ড করে ম্যাচে তৃতীয় শিকার তুলে নেন তাসকিন আহমেদ। মানদান্দে বিদায়ের আগে ৩৯ বলে ৬ চারের সাহায্যে করেন ৪৩ রান। এরপর দুর্দান্ত ইয়র্কারে মুজারাবানিকে দ্রুত তুলে নেন সাইফউদ্দিন। আর ২০তম ওভারের শেষ বলে রানআউট হন মাসাকাদজা। তিনি ৩৮ বলে ২ চার ও সমান ছক্কায় করেন ৩৪ রান।
বাংলাদেশের হয়ে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও তাসকিন আহমেদ ৩টি ও শেখ মেহেদী ২টি উইকেট লাভ করেন। দু’দলের পরবর্তী ম্যাচ আগামী রোববার (৫ মে) একই মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
সূত্রঃ চ্যানেল ২৪