কোহলির বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে মুম্বাইয়ের টানা জয়

ক্রিকেট দুনিয়া April 12, 2024 2,793
কোহলির বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে মুম্বাইয়ের টানা জয়

টেবিলের তলানির দিকের দল মুম্বাই টানা তিন হারের পর গত ম্যাচে জয় পেয়েছিল। প্লে অফের লড়াইয়ে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে তাদের জয় গুরুত্বপূর্ণ ছিল বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে। জয়টা গুরুত্বপূর্ণ ছিল ৫ ম্যাচে মাত্র এক জয় পাওয়া বেঙ্গালুরুর জন্যেও। তবে দুদলের মাঠের লড়াইয়ে শেষ হাসিটা হেসেছে হার্দিকের দলই। ঘরের মাঠের সমর্থকদের দারুণ এক জয় উপহার দিয়েছেন সূর্যকুমার-ইশানরা।


ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বেঙ্গালুরু ৮ উইকেটে তোলে ১৯৬ রান। জবাবে ২৭ বল হাতে রেখেই ৩ উইকেট হারিয়ে জিতে যায় মুম্বাই ।


টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ফাফ ডু প্লেসি, রজত পাতিদার ও দীনেশ কার্তিকের ফিফটির ইনিংসে ২০ ওভারে ১৯৬ রান সংগ্রহ করেছিল বেঙ্গালুরু। ডু প্লেসি ৪০ বলে ৬১, রজত ২৬ বলে ৫০ আর কার্তিক ২৩ বলে ৫৩ রান করেন। ব্যর্থ ছিলেন বিরাট কোহলি ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। কোহলি ৯ বলে ৩ আর ম্যাক্সওয়েল শূন্য রানে ক্রিজ ছাড়েন।


রজত-কার্তিকদের কাছে মুম্বাইয়ের বোলারদের তুলোধুনো হওয়ার দিনে বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন বুমরাহ। ২১ রান খরচায় তুলে নেন ৫ উইকেট। তাতে দখলে নেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির স্বীকৃতি পার্পল ক্যাপ। ৫ ম্যাচে তার শিকার ১০ উইকেট। দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি খরুচে ছিলেন আকাশ মাধাবল। এক উইকেট নিলেও ৪ ওভার বল করে তার খরচ ৫৭ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২ রান খরচে কোয়েতজির শিকারও এক।


রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই ঝড় তোলেন ইশান কিশান ও রোহিত শর্মা। বেঙ্গালুরুর বোলারদের তুলোধুনো করে ৮.৩ ওভারের মধ্যেই দলকে তারা এনে দেন শতরান। ম্যাচটা তখনই নিজেদের করে নিয়েছিল মুম্বাই। হার প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় বেঙ্গালুরুর। নবম ওভারের পঞ্চম বলে বিধ্বংসী ইশানকে ফিরিয়ে কিছুটা লড়াইয়ে ফেরার চেষ্টা করে বেঙ্গালুরু। ৩৪ বলে ৭ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৯ রান করে আকাশ দীপের বলে কোহলির হাতে ক্যাচ দেন ইশান। কিন্তু তাতেও স্বস্তি মেলেনি বেঙ্গালুরু শিবিরে। রোহিতকে সঙ্গ দিতে এসে ঝড় তোলেন সূর্যকুমার যাদব।


দ্বাদশ ওভারে রোহিতকে সাজঘরে ফেরান উইল জ্যাকস। ২৪ বলে ৩ ছক্কা ও ৩ চারের মারে ৩৮ রান করে রোহিত। দলের সংগ্রহ তখন ১৩৯ রান। ক্রিজে নামেন হার্দিক পান্ডিয়া। প্রথম বলেই জ্যাকসকে ছক্কা হাঁকান তিনি। অপরপ্রান্তে চার-ছক্কার ফুলঝুরি অব্যাহত রাখেন সূর্যকুমার। ১৭ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ফিফটি তুলে নেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৯ বলে ৫২ রান করে ১৪তম ওভারে বাউন্ডারিতে লমরর হাতে ধরা পড়েন সূর্যকুমার। দলের সংগ্রহ তখন ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান। জয়ের জন্য তখন দরকার ৩৯ বলে মাত্র ২১ রান।


৬ বলে ৩ ছক্কায় ২১ রান করে হার্দিক আর ১০ বলে ৩ চারের মারে ১৬ রান করে তিলক ভার্মা বাকি কাজটা অনায়াসে সেরে নেন। ৩.৩ ওভার বল করে আকাশ দীপ একাই দেন ৫৫ রান।


আসরে দ্বিতীয় জয় পাওয়া মুম্বাই ৫ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সাত নম্বরে উঠেছে। এক ম্যাচ বেশি খেলা বেঙ্গালুরু ২ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে নবম স্থানে। রাজস্থান রয়্যালস ৫ ম্যাচে ৮ পয়েন্টে শীর্ষে আছে।