গত বছর এশিয়া কাপে জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক হয়েছে তার। ভারতের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচটা রাঙিয়েছিলেন দুটি উইকেট নিয়ে। অভিষেকের পর থেকেই ভালো ছন্দে রয়েছেন এই ডানহাতি পেসার। তবে শুধু বল হাতেই নয়, ব্যাটিং ও ফিল্ডিং দিয়েও দলের জন্য অবদান রাখতে চান তিনি।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ক্রিজে ছিলেন বেশ খানিকক্ষণ। চাপের মুখে দাঁড়িয়ে তাওহিদ হৃদয়কে সঙ্গ দিয়েছেন অনেকটা সময়। বাংলাদেশ ম্যাচ না জিতলেও হৃদয়ের সঙ্গে তানজিমের জুটি টাইগারদের ম্যাচে রাখতে সাহায্য করেছিল।
তবে নিজের আউট হওয়া নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না টাইগার এই পেসার। নিজের ব্যাটিং প্রসঙ্গে আজ শনিবার সাকিব বলেন, ‘যখন ব্যাটিংয়ে নামি আমার চেষ্টা ছিল আমি হৃদয় ভাইকে সাপোর্ট দিব। শেষের দিকে আমি একটু চার্জ করব। আমি হৃদয় ভাইকে সাপোর্ট দিচ্ছিলাম কিন্তু আমি যে শটে আউট হয়েছি আমি আসলে সন্তুষ্ট না।’
বাংলাদেশের আরও অনেক ভক্তের মতো তানজিম সাকিবেরও ইচ্ছে ছিল আরও কিছুটা সময় ক্রিজে থাকার, ‘আমার মনে হয়েছে আমি যদি আরও ২ ওভার হৃদয় ভাইকে সাপোর্ট দেওয়ার পরে শেষের ২ ওভার চার্জ করতাম আমরা আরও একটু বেশি রান করতে পারতাম, দলের জন্য আরও অবদান রাখতে পারতাম।’
তিন বিভাগেই নিজের দিক থেকে অবদান রাখতে চান সাকিব, ‘মানুষ তো স্বপ্ন দেখেই। আমি যখন দলের হয়ে খেলি আমি চেষ্টা করি ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিন দিকে অবদান রাখার। তিন দিক দিয়ে যদি সাপোর্ট দিতে পারি তাহলে দল অবশ্যই ভালো কিছু পাবে। আমি এটাই চেষ্টা করি। আমি যদি ব্যাটিংয়ে যাই ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে দলকে সাপোর্ট দিতে চাই। বোলিংয়ে গেলে বোলিংয়ের মাধ্যমে, ফিল্ডিংয়ে গেলে ফিল্ডিংয়ের মাধ্যমে। তাহলেই দল ভালো করবে। আমি যদি প্রতিটা ক্ষেত্রে ভালো করি তাহলে দল ভালো পাবে আমার কাছ থেকে।’
হৃদয়ের সাথে নিজের বোঝাপড়াটাও জানিয়েছেন সাকিব, ‘খুবই দারুণ লাগসে হৃদয় ভাই আমাকে বলসে যে তুই ব্যাটিং করতে থাক বল ডট গেলে কোনো সমস্যা নাই আমি পুষায়ে দিতে পারব শেষের দিকে। আমি বলসি ঠিকাছে ভাই আমি আপনাকে সাপোর্ট দিচ্ছি সিঙ্গেল বের করে দিচ্ছি। আপনি আপনার মত খেলতে থাকেন। অবশ্যই আমাদের বন্ডিংটা কাজে লেগেছে। হৃদয় ভাই আমাকে খুব ভালোভাবে চিনে, আমিও হৃদয় ভাইকে খুব ভালোভাবে চিনি। এই বন্ডিংটা কাজে দেয় অনেক মাঠের মধ্যে।’