লাহোর কালান্দার্সের পাকিস্তান সুপার লিগের এবারের আসরটা খুব একটা ভালো কাটছে না । টুর্নামেন্টে প্রথম জয়ের জন্য অষ্টম ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের। অধিনায়ক হিসেবে দলের নাজুক ফর্মের দায় এড়াতে পারেন না শাহিন শাহ আফ্রিদি। যার নেতৃত্বে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লাহোর সেই তার অধিনায়কত্ব এবার প্রশ্নবিদ্ধ!
চলতি পিএসএলে প্রথম ৬ ম্যাচে টানা হারের পর লাহোরের সপ্তম ম্যাচটি ভেসে যায় বৃষ্টিতে। ফলে প্রকৃতির সহায়তায় তাদের ভাগ্যে একটি পয়েন্ট যুক্ত হয়, ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নেয় দু’দল। এবার নিজেদের অবদানেই প্রথমবারের মতো পূর্ণ পয়েন্ট পেয়েছে শাহিন আফ্রিদিরা। গতকাল (বুধবার) রাওয়ালপিন্ডির 'পিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে' তারা ইসলামাবাদ ইউনাইটেডকে হারিয়েছে।
অবশ্য দলের ফর্ম বাজে হলেও, অধিনায়ক হিসেবে ব্যর্থ হলও বোলারের ভূমিকায় ঠিকঠাক নিজের কাজটা করে যাচ্ছেন আফ্রিদি। বুধবার রাতে তো দারুণ একটা মাইলফলক স্পর্শ করেছেন এই পেসার। ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের বিপক্ষে ৩২ রানে দুই উইকেট নিয়েছেন লাহোর দলপতি। এ ছাড়া ব্যাট হাতে ৩০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে দলের জয়ে অবদান রেখেছেন আফ্রিদি।
যদিও অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সের পরও ম্যাচ সেরা হতে পারেননি লাহোর অধিনায়ক। তবে ব্যক্তিগতভাবে আলাদাভাবেই এদিন নজর কেড়েছেন তিনি। লাহোরের প্রথম ও টুর্নামেন্টের তৃতীয় বোলার হিসেবে ১০০ উইকেট নেওয়ার নজির গড়েছেন আফ্রিদি। মজার ব্যাপার হচ্ছে উইকেটের সেঞ্চুরি করা তিন বোলারই পেসার; সবাই পাকিস্তানি। আফ্রিদি নাম লেখান ওয়াহাব রিয়াজ ও হাসান আলির পাশে।
টুর্নামেন্টে ৮৮ ম্যাচে ১১৩ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে আছেন সাবেক পেস বোলিং অলরাউন্ডার ওয়াহাব রিয়াজ। তালিকার দ্বিতীয়তে থাকা হাসান অবশ্য এখনও খেলে যাচ্ছেন নিয়মিতই। ৭৯ ম্যাচে তার শিকার ১০৭টি। শততম উইকেটের জন্য আফ্রিদিকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৬৯তম ম্যাচ পর্যন্ত। তার শিকার এখন কাঁটায় কাঁটায় ১০০। তন্মধ্যে এই আসরে সাত ম্যাচে নিয়েছেন ১১ উইকেট।
উইকেট সংখ্যায় তিন অংক ছোঁয়ার অপেক্ষায় আছেন ইসলামাবাদ ইউনাইটেড অধিনায়ক শাদাব খান। তার ঝুলিতে আছে ৮৭টি উইকেট। প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিদের শীর্ষ দশে নেই কোনো বিদেশি বোলার। বিদেশিদের মধ্যে ১৮ নম্বরে আছেন আফগানিস্তান ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন রশিদ খান। ২৮ ম্যাচে ৪৪ উইকেট তার। টুর্নামেন্টে উইকেটের হাফসেঞ্চুরি আছে কেবল ১৩ জনের।