ব্যাট হাতে বিপিএলের দশম আসর মাতিয়েছেন যারা

ক্রিকেট দুনিয়া March 2, 2024 910
ব্যাট হাতে বিপিএলের দশম আসর মাতিয়েছেন যারা

এবারের বিপিএল আসরে দেশীয় খেলোয়াড়দের এক ধরণের আধিপত্য দেখা গেছে। বল হাতে যেমন মাঠে রাজত্ব করেছেন শরিফুল ইসলাম, সাকিব আল হাসানরা। তেমনি ব্যাট হাতেও পিছিয়ে থাকেননি দেশীয় ব্যাটাররা। রানের ফুলঝুরি ছড়াতে না পারলেও হয়েছেন আসরের সর্বোচ্চ রানের মালিক। বিপিএলের দশম আসরে সেরা দশে থাকা সর্বোচ্চ রানের মালিকদের এক নজরে দেখে নেয়া যাক।


বিপিএলের দশম আসরের সেরা ব্যাটার বাংলাদেশের বাঁহাতি ওপেনার চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ফাইনালসহ ১৫ ম্যাচ খেলা তামিম এবারের আসরে ৪৯২ রান করেছেন। একবার নটআউট থাকা এ ব্যাটারের সর্বোচ্চ ইনিংস ৭১। সেঞ্চুরি না পেলেও ফিফটি পেয়েছেন ৩টি। গড় ৩৫.১৪ এবং স্ট্রাইকরেট ১২৭.১৩। তার মোট বাউন্ডারি ৫৪টি এবং ছক্কা মেরেছেন ১৮টি।


সেরা দশের দুইয়ে আছেন রানার্স আপ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ডানহাতি ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়। ১৪ ম্যাচ খেলে এ ব্যাটার দুই ম্যাচ অপরাজিত থাকলেও ০ রানে আউট হয়েছেন দুইবার। আসরের কয়েকটি সেঞ্চুরির মধ্যে হৃদয়েরটি অন্যতম, ফিফটি পেয়েছেন ২টি। সর্বোচ্চ ইনিংসটি অপরাজিত ১০৮ রানের যার স্ট্রাইকরেট ১৪৯.৫১। গড় ৩৮.৫ করে। তিনি চার মেরেছেন ৩৭টি এবং ছক্কা হাকিয়েছেন ২৪টি।


তিনে থাকা লিটন দাস রানার্স আপ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক। উইকেটকিপার ব্যাটার ১৪ ম্যাচ খেলে ৩৯১ রান করেছেন যার মধ্যে তিনটি ফিফটি রয়েছে। আসরে লিটনের স্ট্রাইকরেট ১৩০.৭৬ এবং গড় ২৭.৯২। সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি খেলেছেন ৮৫ রানের। কুমিল্লার অধিনায়ক চার মেরেছেন ৪০টি এবং ছক্কা মেরেছেন ১৭ টি।


দেশীয়দের মধ্যে দুটি সেঞ্চুরির দ্বিতীয়টি এসেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বাঁহাতি ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের থেকে। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বজয়ী এ ওপেনার এবারের আসরে ১২ ম্যাচ খেলে ৩৮৪ রান তুলেছেন। একটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি দুটি ফিফটি রয়েছে তার নামের পাশে। ১৩৫.৬৮ স্ট্রাইকরেটে তার রান তোলার গড় ৩২ করে। সবোচ্চ ১১৬ রান। চার মেরেছেন ৩২ টি এবং ছক্কা ২০টি।


সেরা পাঁচের পঞ্চম ব্যাটার চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালের উইকেটকিপার ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। ১৫ ম্যাচ খেলা এ ব্যাটার চার ম্যাচে অপরাজিত থাকার পাশাপাশি এক ম্যাচে ০ রানে আউট হন। সেঞ্চুরি না পেলেও এ ব্যাটার তিনটি ফিফটি পেয়েছেন। স্ট্রাইকরেট ১২২.৪৪ এবং গড় ৩৩.৭২ করে। চারের সংখ্যা ৩০ টি তবে ছক্কা মেরেছেন মাত্র ১১টি।


সেরা দশে প্রথম বিদেশি খেলোয়াড় অস্ট্রেলিয়ার ডানহাতি ব্যাটার অ্যালেক্স রস। ১১ ম্যাচ খেলা এ ব্যাটার ৮৯ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেছেন। মোট করেছেন ১৫২ রান। দুর্দান্ত ঢাকার এ ব্যাটার চারটি ফিফটির দেখা পেয়েছেন। ৩০টি চারের পাশাপাশি ১৭টি ছক্কা মেরেছেন মিডল অর্ডার ব্যাটার।


সেরা দশের সাতে আছেন দুর্দান্ত ঢাকার বাঁহাতি ওপেনার নাঈম শেখ। ১২ ম্যাচ খেলে ৩১০ রান করেছেন যার সর্বোচ্চ ইনিংসটি ৬৪ রানের। চার মেরেছেন ২৭টি এবং ছক্কা মেরেছেন ১৪টি। তার স্ট্রাইকরেট ১১৯.৬৯।


আটে আছেন প্রথমদিকে দুর্দান্ত আলো ছড়ানো খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়। ডানহাতি এ ওপেনার ১২ ম্যাচ খেলে ২৯৬ রান করেছেন যার সর্বোচ্চ ইনিংসটি অপরাজিত ৬৭ রানের। ১২০.৮১ স্ট্রাইকরেটে তিনটি ফিফটি করেছেন এবং২৬টি চারের পাশাপাশি ১১টি ছক্কা হাকিয়েছেন।


নয়ে আছেন রংপুর রাইডার্সের জিমি নিশাম। সাত ম্যাচ খেলা জিমি তিন ম্যাচে অপরাজিত থেকে ২৯১ রান তুলেছেন। তার সর্বোচ্চ ইনিংসটি অপরাজিত ৯৭ রানের। তিনটি ফিফটি করেছেন এ বাঁহাতি ব্যাটার যার স্ট্রাইকরেট ১৬৭.২৪। ২৯টি চার এবং ১৫টি ছক্কা মেরেছেন তিনি।


সেরা দশে থাকা সবশেষ খেলোয়াড় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের টপঅর্ডার ব্যাটার নিউজিল্যান্ডের টম ব্রুস। ৯ ম্যাচ খেলা ব্রুস ৩ ম্যাচে অপরাজিত থেকে ২৭৮ রান তুলেছেন। তিনি দুই ম্যাচে ফিফটি পেয়েছেন। ২২টি চার এবং ১১টি ছক্কা হাকিয়েছিলেন এ তারকা।