নিউজিল্যান্ড সফরে টি-টয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে আজ মাঠে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া। জয়ের জন্য শেষ ওভারে অজিদের প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। টিম সাউদির করা শেষ ওভারের প্রথম বলটিই হয় ওয়াইড। এরপরের বলে লেগ বাই থেকে আসে আরও এক রান। এরপরের দুই বলে মার্শ ও ডেভিড মিলে দৌড়ে নেন আরও দুই রান।
শেষ তিন বলে তখন অজিদের প্রয়োজন ১২। এমন সময়ে ওভারের চতুর্থ বলটিতে দারুণ এক ছয় হাঁকান ডেভিড। এরপরের বলটিতে দৌড়ে আরও ২ রান নিলে শেষ বলে প্রয়োজন ৪ রান। টানটান উত্তেজনাপূর্ণ এই সময়ে সাউদির করা ওভারের শেষ বলটিও বাউন্ডারি ছাড়া করেন ডেভিড, রান পাহাড় জয় করে দারুণ এক জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।
ওয়েলিংটনে অজিদের বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কিউই অধিনায়ক। আর ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ঝড় তুলেছিলেন ফিন অ্যালেন। এরপর ডেভন কনওয়ে ও রাচীন রবীন্দ্রের পঞ্চাশোর্ধ রানের ইনিংসের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২১৫ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে স্বাগতিকরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মিচেল মার্শের অপরাজিত ৭২ এবং শেষ দিকে টিম ডেভিডের ১০ বলে ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে শেষ বলে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
কিউইদের দেয়া ২১৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৯ রানেই ১৫ বলে ২৪ রান করে সাজঘরে ফিরেন ট্রাভিস হেড। এরপর ডেভিড ওয়ার্নারও ফিরেন ২০ বলে ৩০ রান করে। দুই ওপেনার ফেরার পর ক্রিজে মার্শের সঙ্গে ঝড়ের আভাস দিয়েছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। মাঠে নেমেই ২ চার এবং ২ ছয়ে ২৫ রান করেন ম্যাক্সওয়েল। তবে নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। আউট হয়েছেন লকি ফার্গুসনের বলে।
এরপর জশ ইনিংলিশকে নিয়ে লক্ষ্যের উদ্দেশ্যে এগোতে থাকেন মার্শ। ২০ বলে ২০ রান করে ইংলিশ ফিরলে ক্রিজে অজি অধিনায়কের সঙ্গী হন টিম ডেভিড। ডেভিড মাঠে নামার পর শেষ তিন ওভারে অজিদের প্রয়োজন ছিল ৪২ রান।
শেষ তিন ওভারে মার্শকে সঙ্গে নিয়ে ঝড়ই তুলেছিলেন ডেভিড। ৩ ছয় এবং ২ চারে এই রান করেন তিনি। তাঁর ঝোড় ব্যাটিংয়েই শেষ বলে দারুণ এক জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।
সূত্রঃ ঢাকা মেইল