বিসিবির নতুন চুক্তিতে সাকিব-মুশফিক-শান্তদের কার বেতন কত ?

ক্রিকেট দুনিয়া February 17, 2024 23,594
বিসিবির নতুন চুক্তিতে সাকিব-মুশফিক-শান্তদের কার বেতন কত ?

গত সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিসিবির পরিচালকদের বহুল কাঙ্ক্ষিত বোর্ড মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে । সেদিন নতুন অধিনায়ক, নতুন প্রধান নির্বাচকের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে। এছাড়াও নতুন করে খেলোয়াড়দের চুক্তির বিষয়টিও নিশ্চিত করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নতুন করে প্রকাশ হওয়া বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে জায়গা পান ২১ জন খেলোয়াড়।


নতুন চুক্তি প্রকাশের পর কে কেমন বেতন পাচ্ছেন এ নিয়ে আগ্রহ রয়েছে ক্রিকেট ভক্তদের মনে । গত চুক্তিতে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত খেলোয়াড় ছিলেন সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তাই তিনিই ছিলেন সর্বোচ্চ বেতনভুগী। যেহেতু এবার তিনি নেতৃত্বে নাই তাই বেতন কিছুটা কমেছে সাকিবের। নতুন চুক্তিতে সাকিবের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা।


অন্যদিকে তিন ফরম্যাটের নতুন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত মাসে সর্বোচ্চ ৯ লাখ ১০ হাজার টাকা পাবেন। চুক্তিতে সর্বনিম্ন বেতনভোগী তানজিম সাকিব ও শেখ মেহেদেী। এ দুজনেই পাবেন ১ লাখ টাকা করে। অভিজ্ঞ মুশফিক পাবেন সাড়ে ৬ লাখ টাকা।


এবার এ+, এ, বি, সি আর ডি এই পাঁচ ক্যাটাগরিতে ক্রিকেটারদের ভাগ করে চুক্তি প্রকাশ হয়। টেস্টে এ+ গ্রেডের বেতন সাড়ে ৪ লাখ টাকা। ওয়ানডেতে ৪ লাখ আর টি-টোয়েন্টিতে সংখ্যাটা সাড়ে তিন। একইভাবে এ ক্যাটাগরিতে টাকার পরিমাণ সাড়ে তিন লাখ, তিন লাখ আর ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টি-টোয়েন্টিভেদে টাকার পরিমাণ ভিন্ন বি, সি আর ডি ক্যাটাগরিতেও।


তিন ফরম্যাটেই এ+ ক্যাটাগরিতে রয়েছেন সাকিব আর শান্ত। শান্ত এ+ ক্যাটাগরিতে এবারই প্রথম। তিন ফরম্যাটের চুক্তিতে থাকা বাকি তিন ক্রিকেটার লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ আর শরিফুল ইসলাম আছেন ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরিতে।


সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিক টেস্ট আর ওয়ানডে দুটোতেই রয়েছেন এ+ ক্যাটাগরিতে। শুধু টেস্টের চুক্তিতে থাকা মুমিনুল হক ও তাইজুল ইসলামও এ+ ক্যাটাগরিতে। জাকির হাসান ও মাহমুদুল হাসান জয় সি আর মোহাম্মদ নাঈম ও পেসার খালেদ আহমেদ আছেন ডি ক্যাটাগরিতে।


এর বাইরে সাদা বলের চুক্তিতে থাকা একমাত্র মাহমুদউল্লাহ রিয়াদই আছেন এ+ ক্যাটাগরিতে। অপরিবর্তিত মুস্তাফিজুর রহমান। ওয়ানডেতে তাওহিদ হৃদয় ঢুকেছেন বি ক্যাটাগরিতে।


তবে তিন ফরম্যাটে থাকলেই যে চুক্তির পুরো টাকা পাবেন বিষয়টি তেমন নয়। নিয়মানুযায়ী প্রথম চুক্তির শতভাগ, দ্বিতীয় চুক্তির ৫০ শতাংশ আর তৃতীয় চুক্তির ৪০ শতাংশ অর্থ ঢুকবে তার একাউন্টে। শান্তকে দিয়েই উদাহরণ দেয়া হয়েছে। প্রতি ফরম্যাটের অধিনায়ক হওয়ায় অতিরিক্ত ৪০ হাজার করে আরও মোট ১ লাখ ২০ হাজার টাকা প্রতি মাসে ঢুকবে শান্তর অ্যাকাউন্টে।


এছাড়াও সাকিব ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা, মুশফিক সাড়ে ৬ লাখ, লিটন ৬ লাখ ৫ হাজার, মিরাজ-শরিফুল সাড়ে ৫ লাখ, তাসকিন ৫ লাখ ৭৫ হাজার, রিয়াদ ৪ লাখ, মুস্তাফিজ ২ লাখ ৮৭ হাজার ৫শ আর তাওহিদ হৃদয়ের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে ২ লাখ ৬২ হাজার ৫শ টাকা।


কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইরে কোনো ক্রিকেটার গোটা সিরিজের স্কোয়াডে থাকলে তিনি ওই মাসের ডি ক্যাটাগরির সমপরিমাণ অর্থ পাবেন। তবে গোটা সিরিজে না থাকলে অর্থে পরিমাণ হয়ে যাবে অর্ধেক। এর বাইরেও নির্দিষ্ট সংখ্যক ম্যাচ খেললে ১ লাখ টাকা করে আর্থিক প্রণোদনা পাবেন ক্রিকেটাররা।