সাকিব-প্রিটোরিয়াস নৈপূণ্যে চট্টগ্রামকে হারিয়ে প্লে-অফে রংপুর

ক্রিকেট দুনিয়া February 16, 2024 1,154
সাকিব-প্রিটোরিয়াস নৈপূণ্যে চট্টগ্রামকে হারিয়ে প্লে-অফে রংপুর

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ১৮৮ রানের লক্ষ্য দেয় রংপুর রাইডার্স। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান তুলতে পারে চট্টগ্রাম। এতে ১৮ রানের জয় নিয়ে সবার আগে সুপার ফোর নিশ্চিত করেছে রংপুর। অন্যদিকে এই ম্যাচ হেরে সুপার ফোরের সমীকরণ কঠিন করল চট্টগ্রাম।


টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই ধীর গতিতে এগোতে থাকে রংপুর। তবুও ইনিংস বড় করতে পারেনি দুই ওপেনারের কেউই। ১৯ বলে ২৫ রান করে রনি তালুকদার আউট হলে ১১ বলে ৪ রান করে তাকে সঙ্গ দেন রেজা হেনড্রিক্স।


এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি ব্যান্ডন কিংও । ৯ বলে মাত্র ২ রান করে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। কিন্তু রংপুর শিবিরে হাল ধরেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ৯ বলে ৫ রান করে সোহান আউট হলে সাকিবকে সঙ্গ দেন শেখ মাহেদী।


১৫তম ওভারে জিয়াউর রহমানের বলে পর পর তিন ছক্কা মারেন মাহেদী। অপর প্রান্তে ব্যাট চালিয়ে ৩৩ বলে ফিফটি তুলে নেন সাকিব। ১৫ বলে ৩৪ রানের মারকুটে ইনিংস খেলেন মাহেদী। বিলাল খানকে ছক্কা হাঁকাদে গিয়ে নিজের স্ট্যাম্প বিলিয়ে দেন এই ডান হাতি অলরাউন্ডার।


এরপর সাকিবকে সঙ্গ দেন জেমি নিশাম। তবে ৩ বলে ৫ রান করে কট আউট হন এই কিউই অলরাউন্ডার। ৩৯ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলে আউট হন সাকিব।


শেষ পর্যন্ত হাসান মাহমুদের ২ বলে ৮ রান এবং শামীম পাটোয়ারী ৯ বলে ১৭ রানের ইনিংসে ভর করে আট উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রানের বড় পুঁজি পায় রংপুর রাইডার্স।


চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন রোমারিও শেফার্ড। সালাউদ্দিন সাকিল ও শহিদুল ইসলাম দুটি করে উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়াও এক উইকেট নেন বিলাল খান।


বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় চট্টগ্রাম। ৪ বলে ৪ রান করে আউট হন জশ ব্রাউন। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি সৈকত আলীও। ৭ বলে ৯ রান করেন তিনি। ১৬ বলে ১৩ রান ফিরে যান আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম। পিটোরিয়াসের তৃতীয় শিকার হন তিনি।


পঞ্চম উইকেটে শুভাগত হোমকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন টম ব্রুস। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি কেউই। ১৯ বলে ২১ রান করে শুভাগত আউট হলে, ২৪ বলে ২৪ রান করে তাকে সঙ্গ দেন ব্রুস।


১৫ বলে ১৫ রান করে আউট হন জিয়াউর রহমান। এরপর ব্যাট চালাতে থাকেন রোমারিও শেইফার্ড। শেষ ১৮ বলে চট্টগ্রামের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৬২ রান। দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন শেফার্ড। ২১ বলে ফিফটি তুলে নেন এই ডান হাতি ব্যাটার। ১৮তম ওভারে হাসান মাহমুদকে টানা তিন ছক্কা মেরে ২৩ রান তোলেন তিনি।


শেষ ওভারে চট্টগ্রামের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩১ রান। কিন্তু প্রথম চার বলে দুটিতে রান তুলতে না পারায় ম্যাচ শেষ থেকে ছিটকে যায় চট্টগ্রাম। ৩০ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত থেকেও দলকে জিতাতে পারেনি শেফার্ড। নির্ধারিত ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান তুলতে পারে চট্টগ্রাম। এতে ১৮ রানের জয় পায় রংপুর।


রংপুর রাইডার্সের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন ডোয়েন পিটোরিয়াস। এ ছাড়াও শেখ মাহেদী দুটি এবং হাসান মাহমুদ এক উইকেট নেন।