ব্যাটিং-স্বর্গ উইকেটে কাজটা আগেই সহজ করে রেখেছিল কুমিল্লা ভিক্টরিয়ান্সের বোলাররা। এরপর সহজ লক্ষ্য তাড়ায় তাওহিদ হৃদয়ের দুর্দান্ত এক ইনিংস। দারুণ সঙ্গ দেন জাকের আলীও। তাতে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে সহজ জয় পেয়েছে লিটন দাসের দল। টানা পঞ্চম জয়ে যৌথভাবে শীর্ষে উঠে এলো তারা। অন্যদিকে টানা চার জয়ের পর টানা পাঁচ ম্যাচ হারল খুলনা।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে কুমিল্লাকে ১৬৫ রানের লক্ষ্য দেয় খুলনা। জবাব দিতে নেমে সাত উইকেট ও ২১ বলে হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় কুমিল্লা। ৯১ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসে খেলে আরও একবার কোটি টাকার বিনিময়ে দলে ভিড়ানোর প্রতিদান দেন এই টাইগার ব্যাটার।
১৬৫ রানের জবাব দিতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় কুমিল্লা। ৩ বলে ২ রান করে ক্যাচ আউট হন লিটন। তৃতীয় উইকেটে হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন উইল জ্যাক। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি এই ইংলিশ ব্যাটার। ১০ বলে ১৮ রান করে মুকিদুলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন তিনি।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি আসরের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা জনসন চার্লস। ৮ বলে ১৩ রান করেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। কিন্তু পিচের এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট চালাতে থাকেন তাওহীদ হৃদয়। ২৭ বলে ফিফটি তুলে নেন এই তরুণ ব্যাটার। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন জাকের আলী।
ফিফটি পূরণের পর আরও বিধ্বংসী রুপ ধরেন হৃদয়। বলে বলে বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি হাঁকাতে থাকেন তিনি। শেষ পর্যন্ত জাকের আলীর ৩১ বলে ৪০ রান এবং তাওহীদ হৃদয়ের ৪৭ বলে অপরাজিত ৯১ রানের ইনিংসে ভর করে সাত উইকেট ও ২১ বলে হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা।
খুলনা টাইগার্সের হয়ে ওয়েন পার্নেল, মুকিদুল ইসলাম ও নাহিদ রানা একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু করে খুলনা টাইগার্সের দুই ওপেনার আফিফ হোসেন ও অ্যালেক্স হেলস। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি হেলস। ১৭ বলে ২২ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ইংলিশ ব্যাটার। তৃতীয় উইকেটে পিচে এসে ব্যাট চালাতে থাকেন এনামুল হক বিজয়। ১৩ বলে ১৮ রান করেন তিনি।
৩৩ বলে ২৯ রান করে আউট হন আফিফ। আলিস ইসলামের বলে বোল্ড আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। এরপর খুলনা শিবিরে হাল ধরেন ইভেন লুইস ও মাহমুদুল হাসান জয়। দুজনের ব্যাটে ভর করে শতক পূরণ করে খুলনা।
চতুর্থ উইকেটে ৩৩ বলে অর্ধশত রানের জুটি গড়েন লুইস ও মাহমুদুল। ১৯ বলে ২৮ রান করে আউট হন জয়। ম্যাথিউ ফোর্ডকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন এই ডান হাতি ব্যাটার।
এরপর ব্যাট চালাতে থাকেন লুইস। ২০ বলে ৩৬ রান করেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। মঈন আলীকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে স্ট্যাম্পিং হন তিনি। এক বল পরেই বোল্ড হন লুক উড।
শেষ দিকে নাসুমকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ওয়েন পার্নেল। নাসুমের ২ রান এবং পার্নেলের ১১ বলে ১৮ রানের ইনিংসে ভর করে আট উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রানের লড়াকু পুঁজি পায় খুলনা টাইগার্স।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে হয়ে ম্যাথিউ ফোর্ড ও মঈন আলী দুটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়া আলিস ইসলাম ও মোম্তাফিজুর রহমান একটি করে উইকেট শিকার করেন।