দীর্ঘ ৫ বছর পর সাকিব আল হাসানকে সরিয়ে ওয়ানডের অলরাউন্ডার র্যাংকিঙের শীর্ষস্থান দখল করেছেন আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী। ২০১৯ সালের ৭ মে আরেক আফগান রশিদ খানের কাছ থেকে শীর্ষস্থান কেড়ে নেয়ার পর সাকিব টানা প্রায় ৫ বছর (১৭৩৯ দিন) সাকিব এক নম্বর অলরাউন্ডার ছিলেন। ওয়ানডের অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে এতটা সময় টানা শীর্ষে থাকতে পারেননি অন্য কেউ।
নবী সাকিবকে পেছনে ফেলেছেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা ওয়ানডে সিরিজের পারফরম্যান্স দিয়ে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে বল হাতে ১ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ১৩৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন নবী। আফগান এই অলরাউন্ডারের রেটিং পয়েন্ট ৩১৪।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা সাকিবের রেটিং পয়েন্ট ৩১০। ২৮৮ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছেন জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা। সাকিব গত ৬ নভেম্বর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দিল্লিতে বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলার পর সাকিব আর ওয়ানডে খেলেননি।
৩৯ বছর ১ মাস বয়সে শীর্ষস্থানে উঠেছেন নবী, যা সবচেয়ে বেশি বয়সে অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ওঠার রেকর্ড। আগের রেকর্ডটি ছিল তিলকরত্নে দিলশানের। শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং-অলরাউন্ডার সর্বশেষ ১ নম্বর ছিলেন ২০১৫ সালের জুনে। সে সময়ে তাঁর বয়স ছিল ৩৮ বছর ৮ মাস।
ওয়ানডেতে বোলারদের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন কেশব মহারাজ। ২ নম্বরে আছেন জশ হ্যাজলউড। তিনে আছেন অ্যাডাম জাম্পা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফর্ম করে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে ১৪ ধাপ এগিয়ে ২৬ নম্বরে আছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের শীর্ষস্থানে আছেন পাকিস্তানের বাবর আজম। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ২১০ রানের ইনিংস খেলে ১০ ধাপ এগিয়ে ১৮ নম্বরে উঠে এসেছেন পাতুম নিশাঙ্কা। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৯৭ রানের ইনিংস খেলে চারিত আসালাঙ্কা এগিয়েছেন ৫ ধাপ, আছেন ১৫ নম্বরে। সাদিরা সামারাবিক্রমা ৬ ধাপ এগিয়ে আছেন ৪১ নম্বরে।
টেস্টে ব্যাটসম্যানদের তালিকার ১ নম্বরে কেইন উইলিয়ামসন। দুই নম্বরে অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথ। টেস্টে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে আছেন জাসপ্রিত বুমরা। গত সপ্তাহেই প্রথম ভারতীয় পেসার হিসেবে শীর্ষে উঠেছিলেন বুমরা।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে না চলমান সিরিজে খেললেও ২ নম্বরেই আছেন কাগিসো রাবাদা। টেস্টে অলরাউন্ডারদের তালিকায় শীর্ষস্থানে রবীন্দ্র জাদেজা।