গতকাল থেকপ বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব শুরু হয়েছে। দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক জনপ্রিয় এ টুর্নামেন্টে চট্টগ্রাম পর্বে খেলা মানেই রানের ফুলঝুরি। ব্যতিক্রম যে এবারও হবে না, তার প্রমাণ পাওয়া গেছে প্রথম ম্যাচেই। যেখানে স্বাগতিক চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে তুলোধুনো করে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে যৌথভাবে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
এখন পর্যন্ত বিপিএলে হওয়া সর্বোচ্চ ১০ দলীয় সংগ্রহের প্রথম আটটিই চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। বাকি দুটি হয়েছে ঢাকার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এই পরিসংখ্যানই প্রমাণ করে, বন্দরনগরীর মাঠ কতটা রানপ্রসবা।
টি-২০ ফরম্যাটের বিপিএলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ২৩৯ রান। যা করেছে দুটি দল। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ৪ উইকেট হারিয়ে এই রান করেছিল রংপুর রাইডার্স। এরপর আজ (১৩ ফেব্রুয়ারি) সমান রান করেছে কুমিল্লাও। দুই ক্ষেত্রেই প্রতিপক্ষের নাম চট্টগ্রাম।
অবশ্য চট্টলার দলটি রান যে শুধু দিতে পারে, এমন না। তারা করতেও পারে। বিপিএল ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ২৩৮ রান করেছিল দলটি। সংপুরের বিপক্ষে গত আসরে সমান রান করেছিল ফরচুন বরিশালও।
২০১৯ সালে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে পাঁচ উইকেটে ২৩৭ রান করেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আজকের আগে এটাই ছিল দলটির সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এই তালিকার ষষ্ঠ স্থানটি সিলেট থান্ডার্সের। খুলনার বিপক্ষে পরের আসরে পাঁচ উইকেটে ২৩২ রান করেছিল তারা।
তালিকার সপ্তম স্থানে থাকা কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২২২ রান। যা দ্বিতীয় ইনিংসের হিসেবে সর্বোচ্চ। চট্টগ্রামের দেওয়া ২৩৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো লড়াই করেছিল তারা। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ চার উইকেটে ২২১ রান। যা একইসঙ্গে টুর্নামেন্ট ও চট্টগ্রামের মাটিতে অষ্টম সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
শীর্ষ ১০ দলীয় সংগ্রহের নবম ও দশম স্থানে ভেন্যু হিসেবে আছে ঢাকার নাম। কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে খুলনা টাইগার্স করেছিল দুই উইকেটে ২১৮ রান। দশম স্থানে থাকা দলের নাম ঢাকা। ২০১৩ আসরে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে চার উইকেটে ২১৭ রান করেছিল ঢাকা গ্লাডিয়েটর্স।
বিপিএলে চলতি আসরে চট্টগ্রাম পর্বে এখনো বেশ কিছু ম্যাচ বাকি। ফলে শীর্ষ দশের তালিকায় আরো কিছুটা পরিবর্তন এলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।