রান বন্যার ম্যাচে চট্টগ্রামকে হারিয়ে কুমিল্লার টানা জয়

ক্রিকেট দুনিয়া February 13, 2024 848
রান বন্যার ম্যাচে চট্টগ্রামকে হারিয়ে কুমিল্লার টানা জয়

বন্দরনগরীতে বিপিএলের প্রথম ম্যাচেই রানের পাহাড় গড়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বল হাতেও দাপট দেখিয়ে বড় ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে তারা। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে তিন উইকেটে ২৩৯ রান করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। জবাবে ১৬.৩ ওভারে ১৬৬ রান করতেই গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কুমিল্লার জয় ৭৩ রানে।


টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ে নামা যে ভুল ছিল, তা ক্রমেই বুঝেছেন স্বাগতিক দলের অধিনায়ক শুভাগত হোম। ইনিংস গোড়াপত্তনে নেমে পাওয়ার প্লেতে ৬২ রান জড়ো করে লিটন দাস ও উইল জ্যাকস জুটি।


দলীয় ৮৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় কুমিল্লা। ২৬ বলে হাফ-সেঞ্চুরি হাঁকানো লিটন ফেরেন ব্যক্তিগত ৬০ রানে। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ৩১ বলে এই ইনিংস সাজান দলপতি। লিটনের পরই হৃদয়কে হারায় কুমিল্লা। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন টপ-অর্ডার এই ব্যাটার। শহিদুল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি।


এরপর ব্রুক গেস্টও দ্রুতই ফেরেন। ফেরার আগে ১১ বলে খেলেন ১০ রানের মন্থর এক ইনিংস।


তবে দলীয় রানের গতিতে উইকেটের আঁচ লাগতে দেননি জ্যাকস। চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন ইংলিশ এই ওপেনার। তাকে যোগ সঙ্গ দেন আরেক ইংলিশ সুপারস্টার মঈন আলিও।


এরপর ৫০ বলে এই ফরম্যাটে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি হাঁকান জ্যাকস। শেষ পর্যন্ত ৫ চার ও ১০ ছক্কায় ৫৩ বলে ১০৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।


অন্যদিকে ২৪ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন মঈন আলি। ২ চার ও ৫ ছক্কায় এই ইনিংস সাজান আলি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে কুমিল্লার সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৩৯ রান।


এদিন বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলকে দারুণ সূচনা এনে দেন জশ ব্রাউন ও তানজিদ হাসান তামিম। উদ্বোধনী জুটিতে দুজন যোগ করেন ৮০ রান। ব্যক্তিগত ৪১ রানে তামিম ফেরার পরই ছোটখাটো ধসের সম্মুখীন হয় চট্টগ্রাম।


মাত্র ২৫ রানের মাঝে পাঁচ উইকেট হারিয়ে হারের শঙ্কায় পড়ে চ্যালেঞ্জার্স। তবে সেখানে আশার প্রদীপ হয়ে আসেন সৈকত আলী। মাত্র ১১ বলে ৩৬ রানের ক্যামিও খেলেন তিনি। তার বিদায়ের পর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি স্বাগতিকরা।


মাত্র এক রানে শেষ ৪ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। যেখানে বিপিএলের চলতি আসরে নিজের প্রথম ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করেন মঈন আলী। তিনি ও রিশাদ হোসেন চারটি করে উইকেট নেন। বাকি ২ উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজুর রহমান।


এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ঝড় তোলেন লিটন দাস ও উইল জ্যাকস। ৬০ রানে লিটন সাজঘরে ফিরলেও ৫৩ বলে ১০৮ রানের দুর্ধর্ষ ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন জ্যাকস। শেষদিকে ২৪ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেন মঈন আলী।


জ্যাকস-মঈন ঝড়ে বিপিএল ইতিহাসে যৌথভাবে সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহ পায় কুমিল্লা। চট্টগ্রামের হয়ে শহিদুল ইসলাম দুটি ও সৈকত আলী একটি করে উইকেট নেন।