

ম্যাক্সওয়েলের খুনে ব্যাটিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে ২৪১ রানের পাহাড় দাঁড় করায় অস্ট্রেলিয়া। নিজেদের মাটিতে তারা সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি রান করার পরই যেন ম্যাচের ফল নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল! কিন্তু প্রতিপক্ষ যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ, তখন অপ্রত্যাশিত কিছু কামনা করা বাড়াবাড়ি নয়। লড়াই করে ক্যারিবিয়ানরা দুইশ পার করলেও জিততে পারেনি। ৩৪ রানে জিতে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ নিশ্চিত করলো তারা।
তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে রোববার ৫৫ বলে অপরাজিত ১২০ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছেন ম্যাক্সওয়েল। তার দল নির্ধারিত ২০ ওভারে তোলে ৪ উইকেটে ২৪১ রান। লক্ষ্য তাড়ায় ৯ উইকেটে ২০৭ রানে আটকে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। ৩৪ রানের জয়ে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া।
ম্যাচের মোট রান ৪৪৪। টি-টোয়েন্টিতে এই দুই দলের মিলিত রানের রেকর্ড এটিই। গত নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি শতকের রেকর্ডে রোহিতকে ছুঁয়েছিলেন ‘ম্যাড ম্যাক্স’। দুজনেরই তখন ছিল চারটি করে শতক। এরপর গত মাসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে ম্যাক্সওয়েলকে ছাড়িয়ে যান ভারত অধিনায়ক রোহিত। এক মাস না পেরোতেই আবার রোহিতকে ছুঁয়ে ফেললেন ম্যাক্সওয়েল।
পাঁচটি শতক করতে রোহিতের লেগেছে ১৪৩ ইনিংস। ম্যাক্সওয়েলের লাগল ৯৪ ইনিংস। ভারতের সূর্যকুমার যাদব ৪টি শতক করেছেন মাত্র ৫৭ ইনিংসে। তবে একটি জায়গায় সবার চেয়ে এগিয়ে ম্যাক্স। তার পাঁচটি শতকের চারটিই এসেছে চার বা এর পরে ব্যাটিংয়ে নেমে।
সব মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি দশম শতক। ম্যাক্সওয়েল ছাড়া একাধিক শতক আছে কেবল অ্যারন ফিঞ্চের, ২টি।
অ্যাডিলেড ওভারে টস হেরে ব্যাটে নেমে দ্বিতীয় ওভারে জস ইংলিশকে হারায় অস্ট্রেলিয়া। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১২ বলে ২৯ রান করে পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই আউট হন অধিনায়ক মিচেল মার্শও। আগের ম্যাচের নায়ক ডেভিড ওয়ার্নার (১৯ বলে ২২) থামেন ঝড়ের আভাস দিয়ে।
এরপর মার্কাস স্টয়নিসের সাথে ৪২ বলে ৮২ ও টিম ডেভিডকে নিয়ে ৩৯ বলে ৯৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন ম্যাক্সওয়েল। ১৬ বলে ১৬ রান করেন স্টয়নিস। ১৪ বলে ৩১ রান ডেভিডের।
অন্য প্রান্তে উত্তাল ছিল ম্যাক্সওয়েলের ব্যাট। অর্ধশতক পূর্ণ করেন ২৫ বলেই। শতক করতে লাগে ৫০ বল। ৫৫ বলে অপরাজিত ১২০ রানের ইনিংসে চার ১২টি, ৬টি ছক্কা।
সবচেয়ে বড় ঝড় গেছে আন্দ্রে রাসেলের উপর দিয়ে। ৪ ওভারে ৫৯ রান দিয়ে উইকেটশূন্য এই পেস অলরাউন্ডার। ওভারপ্রতি দশের নিচে রান দিয়েছেন কেবল আলজারি জোসেফ, ৪ ওভারে ৩১। জেসন হোল্ডার ৪২ রানে ২ উইকেট নেন।









