তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৮১ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। নিশাঙ্কা একাই অপরাজিত ২১০ রান করেন। জবাবে ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৩৯ রান শেষ হয় আফগানিস্তানের ইনিংস। তাতে ৪২ রানের জয় পায় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা।
এ দিন প্রথম ইনিংসে কোনো পাত্তাই পায়নি আফগানিস্তানের বোলাররা। শুরু থেকেই তাদের ওপর চড়াও হন দুই ওপেনার নিশাঙ্কা ও আভিষ্কা ফার্নান্দো। ২৬ ওভারের মধ্যে তারা দলকে এনে দেন ১৮২ রান। ২৭তম ওভারে গিয়ে ৮৮ রানের ইনিংস খেলে ফরিদ আহমেদের শিকার হন আভিষ্কা। ৮৮ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংস। তখন ৭২ বলে ৮৭ রানে অপরাজিত ছিলেন নিশাঙ্কা। দ্বিতীয় উইকেটে তার সঙ্গে ৪৩ রানের জুটি গড়েন কুশাল মেন্ডিস। ৩১ বলে ১৬ রান করে মোহাম্মদ নবির শিকার হন তিনি।
এরপর ক্রিজে এসে নিশাঙ্কাকে সঙ্গ দেন সাদিরা সামারাবিক্রমা। যোগ্য সঙ্গী পেয়ে ঝড় তুলতে থাকেন নিশাঙ্কা। ৮৮ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর ১১৬ বলে তুলে নেন দেড়শ। দলীয় ৩৪৫ রানে ব্যক্তিগত ৪৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হন সামারাবিক্রমা। তবে ক্রিজের আধিপত্য ধরে রাখেন নিশাঙ্কা। পাল্লাকেলের ভিআইপি বক্সে বসে থাকা স্বদেশী কিংবদন্তি জয়াসুরিয়ার সামনেই ভাঙেন তার ২৪ বছর আগের পুরনো রেকর্ড। ২০০০ সালে শারজায় ভারতের বিপক্ষে ১৮৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন জয়াসুরিয়া।
ওয়ানডেতে গত ২৪ বছরে এটিই ছিল কোনো লঙ্কান ব্যাটারের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ইনিংসের ৪৯তম ওভারের পঞ্চম বলে সে রেকর্ড ভেঙে ১৯০ রান করে ফেলেন নিশাঙ্কা। দুই যুগ পর নিজের সে রেকর্ড তরুণ কোনো ব্যাটারকে ভাঙতে দেখে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে অভিবাদন জানান জয়াসুরিয়া। শেষ পর্যন্ত ১৩৯ বলে ২০ চার ও ৮ ছক্কায় ২১০ রান করে প্রথম লঙ্কান ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরির ক্লাবে নাম লেখান নিশাঙ্কা।
৩৮২ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫৫ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারায় আফগান বাহিনী। তাতে মনে হয়েছিল, বড় ব্যবধানে হারতে চলেছে দলটি। তবে তখনই জুটি গড়ে তোলেন নবি ওমরজাই। দুজনের জুটি থেকে আসে ২৪২ রান। যেখানে দুজনই পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। তাতে ম্যাচে জমজমাট লড়াই হলেও শেষ পর্যন্ত হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে হাশমতউল্লাহ শাহিদির দল। এই ম্যাচে ১১৫ বলে ১৪৯ রানে অপরাজিত ছিলেন ওমরজাই। আর ১৩০ বলে ১৩৬ করে আউট হয়েছিলেন নবি।
সূত্রঃ সময় টিভি অনলাইন