শহিদুল-আল আমিনের বোলিং তোপে উড়ে গেল বরিশাল

ক্রিকেট দুনিয়া February 6, 2024 3,405
শহিদুল-আল আমিনের বোলিং তোপে উড়ে গেল বরিশাল

আগে ব্যাটিং বা পরে ব্যাটিং কোন সমীকরণ যেনো কাজ করছেনা তামিমের বরিশালের বেলায় । যেখানে মিরপুরে পরে ব্যাট করে জয়ের হার বেশি সেখানে ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং ব্যর্থতায় হারলো ফরচুন বরিশাল । অন্যদিকে সিলেট পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছিল ছন্দে থাকা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দ্বিতীয় দফায় ঢাকায় ফিরেই জয়ের দেখা পেলো শুভাগত হোমের দল। তামিম-মুশফিকদের ফরচুন বরিশালকে ১৬ রানে হারিয়ে টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ।


মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে চট্টগ্রামকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় বরিশাল। ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম-রিয়াদদের ১৪৬ রানের লক্ষ্য দেয় বন্দরনগরীর দলটি। জবাব নেমে ১২৯ রান তুলতে পারে বরিশাল। এতে ১৬ রান জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে চট্টগ্রাম।


ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও জশ ব্রাউন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তামিম। ১৯ বলে ১০ রান করে সাইফউদ্দিনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার।


তৃতীয় উইকেট ব্রাউনকে সঙ্গ দেন টস ব্রুস। ২৩ বলে ৩৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন ব্রাউন। এদিন ইনিংস বড় করতে পারেননি শাহাদত হোসেন দিপুও। ২০ বলে ১৫ রান করে আউট হন তিনি। ২ বলে ৪ রান করে নাজিবুল্লাহ জাদরান আউট হলে রানের গতি কমে যায় চট্টগ্রামের।


কিন্তু পিচের একপ্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন টম ব্রুস। ১১ বলে ১২ রান করে তাকে সঙ্গে দেন সৈকত আলি। ৪০ বলে নিজের ফিফটি তুলে নেন ব্রুস। তার ৫০ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসে ভর করে ১৪৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।


ফরচুন বরিশালের সর্বোচ্চ দুই উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ ইমরান। এ ছাড়াও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, আব্বাস আফ্রিদি ও তাইজুল ইসলাম একটি করে উইকেট নেন।


ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ধীর গতিতে রান তুলতে থাকে বরিশালের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও আহমেদ শেহজাদ। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি শেহজাদ। ১৭ বলে ১৬ রান করে আউট হন এই পাকিস্তানি ব্যাটার।


দুই বল পরেই বোল্ড আউট সৌম্য সরকার (০)। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি মিরাজও। ৪ বল খেলে খালি হাতে ফেরেন তিনি। এরপর তামিমকে সঙ্গ দেন মুশফিকুর রহিম। ১৩ বলে ৯ রান করে আউট হন মুশফিক।


এদিন ১ রানের আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম ইকবাল। ৪৬ বলে ৪৯ রান করে আউট হন দেশ সেরা এই ওপেনার। এতে কিছুটা চাপে পড়ে বরিশাল। শেষ চার ওভারে বরিশালের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৫০ রান।


অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন শোয়েব মালিক। তবে ইনিংস বড় করতে পারেন তিনি। ১১ বলে ১৪ রান করে নাহিদুজ্জামানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বল আকাশে তুলে দেন এই পাকিস্তানি ব্যাটার।


সহজ ম্যাচকে কঠিন করায় শেষ ১২ বলে বরিশালের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৬ রান। মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট চালাতে থাকেন সাইফউদ্দিন। ১৯তম ওভারের চতুর্থ বলে মাহমুদউল্লাহকে আউট করে উল্লাসে ভাসে চট্টগ্রাম। ৮ বলে ৩ রান করে হন তিনি। পরের বলেই ক্যাচ আউট হন আব্বাস আফ্রিদি।


শেষ ছয় ওভারে ২৯ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় বরিশালের সামনে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি বরিশালের নির্ধারিত ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান তুলতে পারে বরিশাল। এতে ১৬ রানের জয় পায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।


চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সে হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন শহিদুল ইসলাম। আল আমিন শিকার করেন দুই উইকেট। এ ছাড়াও বিলাল খান,সৈকত আলি ও নাহিদুজ্জামান।