নিজেদের পঞ্চম ম্যাচেও এনামুল হক বিজয়ের দল প্রায় জিতেই যাচ্ছিল। তবে তাদের মুখের সামনে থেকে সেই খাবার কেড়ে নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও শোয়েব মালিক। শেষ মুহূর্তে দুজনের রোমাঞ্চকর ব্যাটিংয়ে খুলনাকে ৫ উইকেটে হারাল বরিশাল। চলতি বিপিএলে যা খুলনার প্রথম হার।
শনিবার (৩ জানুয়ারি) টস জিতে খুলনা টাইগার্সকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় ফরচুন বরিশাল। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে বরিশালকে ১৫৬ রানের লক্ষ্য দেয় বিজয়ের দল। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই বল ও পাঁচ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় বরিশাল
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বরিশাল। গত দুই ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম করা আহমেদ শেহজাদ শূন্য রান করে সাজঘরে ফেরেন। তৃতীয় উইকেটে সৌম্য সরকারকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন তামিম ইকবাল।
তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি এই টাইগার ব্যাটার। ১৮ বলে ২০ রান করে ফাহিম আশরাফকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন তামিম। ২৩ বলে ২৬ রান করে আশরাফের দ্বিতীয় শিকার হন সৌম্য।
শোয়েব মালিককে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। ২৫ বলে ২৭ রান আউট হন এই ডান হাতি ব্যাটার। এদিন ব্যাট হাতে দলকে উদ্ধার করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। ৮ বলে ৪ রান করে ক্যাচ আউট হন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
শেষ দিকে মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জিতানোর চেষ্টা করে মালিক। শেষ ওভারে বরিশালের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৮ রান। তবে মিরাজও মালিকের মারকুটে ব্যাটিংয়ে দুই বল ও পাঁচ উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল।
খুলনা টাইগার্সে হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন ফাহিম আশরাফ। এ ছাড়াও নাসুম আহমেদ ও নাহিদুল ইসলাম একটি করে উইকেট শিকার করেন।
প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ ভালো শুরু পেয়েছিল খুলনা। তবে ১৩ বলে ১২ রানে থাকা অধিনায়ক বিজয়কে উইকেটে থিতু হতে দেননি আকিফ জাভেদ। পাকিস্তানি পেসারের ফুল লেংথের ডেলিভারি মিস করে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এরপর রান আউট হয়ে মাত্র ২ রানে সাজঘরের পথ ধরেন হাবিবুর রহমান সোহান।
এরপর শোয়েবের টসড-আপ ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ'র ফাঁদে পড়েন একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলা ইমন। এতে ২৪ বলে ৩৩ রানে শেষ হয়েছে ইমনের ইনিংসের। এরপর আফিফকেও ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ।
মাহমুদুল হাসান জয়কে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি তাইজুল। বাঁহাতি এই স্পিনারের ঘূর্ণিতে ১৩ রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন জয়। পরের ওভারে দাসুন শানাকাকে বোল্ড করেছেন তাইজুল।
প্রতিরোধ গড়তে ব্যর্থ হন নাহিদুলও। মোহাম্মদ ইমরান জুনিয়রের লেংথ বলে মাত্র ৫ রানেই বোল্ড হন তিনি।
শেষ দিকে দুই পাকিস্তানি মোহাম্মদ নাওয়াজ ও ফাহিম আশরাফ বাড়িয়েছেন খুলনার পুঁজি। তাদের ব্যাটে ভর করে লড়াইয়ের পুঁজি নিশ্চিত করে দলটি।