এবার তামিমের ধমক নিয়ে মুখ খুললেন খালেদ

গত ২৩ জানুয়ারি মিরপুরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে নাটকীয় ভাবে ম্যাচ হারে ফরচুন বরিশাল । শেষ ওভারে কুমিল্লার দরকার ছিল ১৩ রান। প্রথম বলে উইকেট নিয়ে বরিশালকে জয়ের আশা দেখান খালেদ আহমেদ। কিন্ত পরের চার বলে ক্যারিবীয় বোলার ফোর্ড টানা দুই বলে চার ও ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ বের করে নেন।

খালেদের এমন বোলিংয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখান অধিনায়ক তামিম ইকবাল। বরিশাল অধিনায়ক সম্ভবত লেগ সাইডে ফিল্ডিং সাজিয়ে ক্রিজে আসা লোয়ার অর্ডার ব্যাটার ম্যাথিউ ফোর্ডেকো আটকানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু খালেদ পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করতে পারেননি। এ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়। তবে এমন কিছুকে স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন খালেদ।

সেদিন কী ঘটেছিল আসলে? তামিমের সেদিনের প্রতিক্রিয়াকেই কিভাবে দেখছেন? আজ ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নটা আসলে খালেদ বলেন, ‘আমার পরিকল্পনা ছিল আমি যেহেতু ফিল্ড সেট আপ ওইদিকে (লেগ সাইডে) করেছি, ব্যাটার তৈরি থাকবে ওইদিকে মারার জন্য। আমি ওরে ব্লাফ দেওয়ার জন্য এই বলগুলো করছিলাম। সামহাউ হয় নাই, লাইগা গেছে ভালো; ওর দিন ছিল। ’

তামিমের ধমক প্রসঙ্গে খালেদ বলেন, ‘আমি ওরকমভাবে চিন্তা করি না। আমাকে বড় ভাইরাই ঝাড়ি দিতে পারে। মাঠের মধ্যে সবাই সমান এখানে। বড় ভাই ঝাড়ি দিয়েছে, আমি কিছু মনে করি নাই। পরে আবার এসে বলছে পরের ম্যাচে এরকম করতে হবে, এরকম করলে হবে না।’

এক ম্যাচ ড্রপ হওয়ার পর দারুণভাবে কামব্যাক করলেন। কিভাবে? খালেদের উত্তর, ‘শেষ ম্যাচ ভালো যায়নি এটা না। শেষ ম্যাচটা দেখেন আমি তিন ওভার ভালো করেছি, শেষ ম্যাচটা ৫০-৫০ ছিল; হয়তো ব্যাটারের দিকে চলে গেছে। আমার পরিকল্পনায় হয়তো কিছু ভুল ছিল। ওখান থেকে শেষ ম্যাচ যেহেতু বিশ্রাম পেয়েছি, আমার চিন্তা করার সময় ছিল।'

ওই ম্যাচের পর একাদশ থেকে ছিটকে যান খালেদ। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ফিরে ৪ ওভারে দিয়েছেন কেবল ২৯ রান। এমন দারুণ বোলিংয়ের আগে কী করেছিলেন? খালেদ জানিয়েছেন বড় ভাইদের পরামর্শের কথা।

দলের বড় ভাইদের পরামর্শও কাজে লেগেছে জানিয়ে খালেদ বলেন, 'আমি বড় ভাইদের সঙ্গে কথা বলেছি আমার ফিল্ড সেট আপ কেমন হলে ভালো হয়। উনারা আমাকে একটা ডিরেকশন দিয়েছে, ওইভাবে আমি প্র্যাকটিস করেছি। আজ তার ফল পেলাম কিছুটা হলেও। আলহামদুলিল্লাহ।’