শক্তিশালী কুমিল্লার বিপক্ষে জয় দিয়ে বিপিএলে শুভসূচনা করেছিল দুর্দান্ত ঢাকা । শুরুটা ভালো করলেও পরের তিন ম্যাচে হেরে হ্যাটট্রিক করলো তারা । অন্যদিকে টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত অপরাজিত রয়েছে এনামুল হক বিজয়ের দল। রাজধানীর দলটিকে দশ উইকেটে হারিয়ে রীতিমত উড়ছে খুলনা।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে ঢাকা দুই ওপেনার সাইম আইয়ুব ও নাঈম শেখ। দুজনের ব্যাটে ভর করে এগিয়ে যেতে থাকে দলটি। তবে ফিফটির আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফেরেন নাঈম। ২১ বলে ৪১ রান করে আফিফকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ইভেন লুইসের তালুবদ্ধ হন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
নাঈমের আউটের পর বিদায় নেন সাইম আইয়ুবও। ৩৭ বলে ৩৫ রান করে দাসুন শানাকার বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন এই পাকিস্তানি ব্যাটার।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি দুর্দান্ত ঢাকার হয়ে অভিষেক করা গুলবাদিন নাইব ও এসএম মেহরাব। ১২তম ওভারে মুকিদুলের দ্বিতীয় বলে ৬ বলে ৩ রান করে ক্যাচ আউট হন গুলবাদিন। এরপর এক বল পরেই আফিফের হাতে তালু বদ্ধ হন মেহরাব (৩)।
ভালো শুরু করেও ৯ রানের ব্যবধানে চার ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে দুর্দান্ত ঢাকা। আশার যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন ইরফান শুক্কুর ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ১৪তম ওভারে ৪ বলে তিন রান করে শুক্কর আউট হলে, ২ বলে শূন্য রান করে তাকে সঙ্গ দেন সৈকত।
এরপর অ্যালেক্স রোস এক প্রান্ত আগলে রাখলেও উইকেট হারাতে থাকে বাকিরা। তাসকিন আহমেদ (৪) ও ওসমান কাদির (১)। ১৪ বলে ২১ রান করে আউট হন রোসও। শেষ পর্যন্ত শরিফুল ইসলামের ৭ বলে ১ রান এবং আরাফাত সানির ১৪ বলে ১৫ রানের ভর করে নয় উইকেট হারিয়ে ১৩০ রানের লড়াকু পুঁজি পেল ঢাকা।
খুলনা টাইগার্সে হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। ওয়াসিম জুনিয়র ও মুকিদুল ইসলাম দুটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়াও দাসুন শানাকা ও আফিফ হোসেন একটি করে উইকেট শিকার করেন।
ঢাকার দেওয়া ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাট চালাতে থাকেন খুলনার দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও ইভেন লুইস। তবে পেটের ডান পাশে টান লাগায় রি-টাইট হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন লুইস। ১৩ বলে ২৬ রান করেন এই ক্যারিবীয় ব্যাটার।
এরপর আফিফকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন বিজয়। ৩৭ বলে নিজের ফিফটি তুলেন নেন এই ডান হাতি ব্যাটার। অন্যদিকে ব্যাট চালাতে থাকেন আফিফও। দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জয়ের পথে ছুটতে থাকে খুলনা।
শেষ পর্যন্ত আফিফ হোসেনের ২৭ বলের ৩৭ রান। এবং এনামুল হক বিজয়ের ৪৭ বলে অপরাজিত ৫৭ রানের ভর করে ৩২ বল এবং দশ উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় খুলনা টাইগার্স। এতে টানা তিন ম্যাচে হারের স্বাদ পেল ঢাকা।