এবারের বিপিএলে শক্তিশালী দল গড়লেও প্রথম তিন ম্যাচে নামের সুবিচার করতে পারেনি রংপুর রাইডার্স । নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে ঢাকাকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে নিজেদের শক্তিমত্তার জানান দিলো সাকিবের দল । অন্যদিকে নামে দুর্দান্ত হলেও নামের সুবিচার করতে ব্যর্থ দুর্দান্ত ঢাকা । উলটো প্রতিপক্ষের দুর্দান্ত ইনিংস আর দাপুটে বোলিংয়ে নাজেহাল হয়ে টানা দ্বিতীয় হারের স্বাদ পেল মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দল । ১৮৪ রানের টার্গেট টপকাতে নেমে ঢাকা গুটিয়ে গেছে ১০৪ রানে।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে রংপুর রাইডার্সকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছে দুর্দান্ত ঢাকা। ব্যাটিং নেমে শুরুটা দুর্দান্ত শুরু করে ব্যান্ডন কিং ও বাবর আজম। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি কিং। ১৩ বলে ২০ রান করে তাসকিনের বলে ক্যাচ আউট হন এই ক্যারিবীয় ব্যাটার।
এদিন তিনে ব্যাট করতে এসে পিচে থিতু হতে পারেননি রনি তালুকদারও। তবে নুরুল হাসান সোহানকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন বাবর আজম। ২৪ বলে ২৬ রান করে আরাফাত সানি বলে লেগ বিফোরে কাটা পড়েন সোহান।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি মোহাম্মদ নবিও। ২ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই আফগান অলরাউন্ডার। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে ৪১ বলে ফিফটি তুলে নেন বাবর। এরপরই ব্যাট চালাতে থাকেন এই পাকিস্তানি তরকা ক্রিকেটার। ৪৬ বলে ৬২ রান করে আউট হন তিনি।
শামীম পাটোয়ারীকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট চালাতে থাকেন আজমতুল্লাহ ওমারজাই। ১৫ বলে ৩২ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন এই আফগান অলরাউন্ডার। শেষ পর্যন্ত শামীমের ৮ বলে ১৭ এবং মাহেদীর ৫ বলে ৮ রানের ভর করে আট উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রানের বড় পুঁজি পায় রংপুর রাইডার্স।
দুর্দান্ত ঢাকা হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন আরাফাত সানি। এ ছাড়াও দাসুনকা গুণাতিলকা, শরিফুল ইসলাম, আলাউদ্দিন বাবু ও তাসকিন আহমেদ একটি করে উইকেট নেন।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে উইকেট হারায় খুলনা। প্রথম ওভারেই আজমতুল্লাহ ওমারজাইয়ের বলে লেগ বিফোরে কাটা পড়েন লঙ্কান অলরাউন্ডার দাসুশকা গুণাতিলাকা। ৫ বল খেলে কোনো রান পাননি তিনি।
তৃতীয় উইকেটে নাঈম শেখকে সঙ্গে নিয়ে রান তোলারে চেষ্টা করেন পাকিস্তানি তরুণ ব্যাটার সাইম আইয়ুব। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ১৪ বলে ১৭ রান ওমারজাইয়ে দ্বিতীয় শিকার হন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি লাসিথ ক্রসপুলেও। ৩ বলে শূন্য রান করে ফেরেন তিনি। ১০ বলে ১৪ রান করা নাঈম মোহাম্মদ নবিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন। এতে দলীয় ৩২ রানের চার উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে দুর্দান্ত ঢাকা।
এরপর মোসাদ্দেক হোসেনতে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন অজি ব্যাটার অ্যালেক্স রোস। ১৮ বলে ১৫ রান করে আউট হন ঢাকার অধিনায়ক। পরের বলেই ডাক আউট হলে সাজঘরে ফেরেন ইরফান শুক্কুর।
কিন্তু পিচের এক প্রান্ত আগলে রেখে ৩২ বলে ফিফটি তুলে নেন রোস। অপর প্রান্তে ৬ বলে ৩ রান করে ফেরেন আলাউদ্দিন বাবু। ১৭তম ওভারের প্রথম বলে রোসকে বোল্ড করেন মাহেদী। ৩৪ বলে ৫১ রান করে এই অজি ব্যাটার আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ঢাকা।
পরের বলে শরিফুল আউট হলে ২১ বল হাতে থাকতেই ১০৪ রানে অলআউট হয় ঢাকা। বোলিংয়ের সময় ব্যথা পাওয়ায় ব্যাটিং করেননি তাসকিন আহমেদ। এতে ৭৯ রানের জয় পায় রংপুর।
রংপুর রাইডার্সের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন শেখ মাহেদী হাসান। আজমতুল্লাহ ওমারজাই ও হাসান মাহমুদ দুটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়াও মোহাম্মদ নবি ও সাকিব আল হাসান একটি করে উইকেট শিকার করেন।
অনবদ্য ইনিংস খেলা রংপুরের ওপেনার বাবর আজমের হাতে ওঠল ম্যাচ সেরার পুরষ্কার।