অবশেষে রানখড়া কাটিয়ে এবারের আসরের সর্বোচ্চ স্কোর দেখলো বিপিএল । স্কোরের উন্নতি হলেও ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি ফরচুন বরিশালের । চলতি আসরের প্রথম ম্যাচে রংপুরকে হারালেও পরের তিন ম্যাচেই হারের স্বাদ পেয়েছে তামিম ইকবালের দল । বরিশালের টানা তিন ম্যাচ হারের দিনে চট্টগ্রাম জিতলো এবারের আসরের তৃতীয় ম্যাচ ।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি চট্টগ্রামের। প্রথম ওভারেই তানজিদ হাসানের উইকেট হারায় দলটি। তাইজুল বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে দুনিথ ভাল্লালাগের মুঠোবন্দি হন এই ওপেনার। ফেরার আগে তরুণ এই ব্যাটার ১২ রানের ইনিংস উপহার দেন।
পরের ওভারে ইমরানউজ্জামানকে ফেরান তাইজুল। ৮ বলে ৪ রানে ক্রিজে থাকা এই ব্যাটারকে বোল্ড করেন তাইজুল।
এরপর আভিষ্কা ফার্নান্দো এবং শাহাদাত হোসেন দিপুর ব্যাটে রানের গতি বাড়ায় চট্টগ্রাম। এই জুটিতে আসে ৭০ রান। দিপুকে বোল্ড করে এই জুটি ভাঙেন ইয়ানিক ক্যারিয়াহ। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ২৯ বলে ৩১ রান করেন দিপু।
দিপু ফিরলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন আভিষ্কা। ফিফটির পরই আগ্রাসী হয়ে উঠেন লঙ্কান এই ব্যাটার।
এরপর নাজিবউল্লাহ জাদরানকে নিয়ে দলীয় রান বাড়াতে থাকেন তিনি। তবে ইনিংসের ১৯তম ওভারে সাজঘরে ফেরেন নাজিবউল্লাহ। তাদের ৬৮ রানের জুটি ভাঙেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। এক্সট্রা কাভারে তাইজুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৯ বলে ১৮ রান করে ফেরেন আফগান এই ব্যাটার।
রাব্বির পরের তিন বলে তিন বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলীয় স্কোর আরও বাড়ান কার্টিস ক্যাম্ফার। শেষ পর্যন্ত ৯ বলে ২৯ রানের এক দুর্ধর্ষ ক্যামিও খেলেন এই ব্যাটার।
তবে সব কিছু ছাপিয়ে নিজের দিকে আলাদা করে নজর কেড়ে নেন আভিস্কা। সেঞ্চুরির খুব কাছাকাছি গিয়ে ৫০ বলে ৯১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রানের সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন ওপেনার তামিম ইকবাল ও পাকিস্তানি তারকা ব্যাটার আহমেদ শেহজাদ। ১৭ বলে ৩৯ রানের মারকুটে ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। স্বদেশি বিলাল খানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন এই ডান হাতি ব্যাটার।
তৃতীয় উইকেটে সৌম্যকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন তামিম। ১১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কার্টিস ক্যাম্ফারকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারির কাছে ক্যাচ আউট হন তিনি। ৩০ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ১৬ বলে ১৭ রান করে আউট হন সৌম্য সরকার।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেনি অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও। ৪ বলে ৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ২ বলে ৪ রান করে তাকে সঙ্গ দেন ইয়ানিক ক্যারিয়াহ। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। দুজনের ব্যাটে ভর করে জয়ে জন্য লড়াই করতে থাকে বরিশাল।
১৬ বলে ৩৫ রানের মারকুটে ইনিংস খেলে মিরাজ আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বরিশাল। ২২ বলে ২৩ রান করে আউট হন মুশফিক। শেষ পর্যন্ত আব্বাস আফ্রিদির ৮ বলে ১১ রান এবং ওয়েল্লালাগে ৪ বলে অপরাজিত ১১ রানের ভর করে সাত উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান তুলতে পারে বরিশাল। এতে ১০ রানের জয় পায় চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট শিকার করেন কার্টিন ক্যাম্ফার। দুই উইকেট শিকার করেন বিলাল খান। এ ছাড়া এক উইকেট নেন আল আমিন।